সময়রেখা: বাংলাদেশ (১৯৭১-২০২১)

লেখক বিশ্ব ইতিহাস বিষয়ক তার প্রকাশিতব্য বইয়ে নির্মোহভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের গত অর্ধশতকের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিক্রমা — তারই নির্বাচিত অংশ নেত্র নিউজের পাঠকদের জন্য।

সময়রেখা: বাংলাদেশ (১৯৭১-২০২১)

১৯৭১

মার্চে অপারেশন সার্চলাইট চালানো হয় পূর্ব বাংলায়। পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হন শেখ মুজিবুর রহমান। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। পূর্ব বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। পরবর্তী নয় মাস ভয়ানক গণহত্যা চালাল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পূর্ব বাংলার বিপুল সংখ্যক নারী ধর্ষণের শিকার। নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের শেষদিকে আলবদর বাহিনীর হাতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড।

১৬ ডিসেম্বর: পাকিস্তানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ, বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ। এর দুই দিন পর পল্টন ময়দানে বেশ কয়েকজন বন্দী বিহারীকে প্রকাশ্যে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও তার লোকজন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন সেক্টর কমান্ডার এমএ জলিল।

১৯৭২

জানুয়ারিতে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে দেশে ফিরলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নিজেকে একটি গণপ্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করল। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ও শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। “রাষ্ট্রপতির ৮ নং আদেশ” নামে “বাংলাদেশ যোগসাজশকারী বা দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ, ১৯৭২” জারি করা হলো।

মার্চে “অসমাপ্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব” সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাল পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি। একই মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে শহিদুল্লাহ কায়সার ও জহির রায়হানের বোন নাফিসা কবিরের নেতৃত্বে শহিদ পরিবারের সদস্যরা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।

এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলো। একই মাসে বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। জাতীয় রক্ষীবাহিনী গঠিত। অক্টোবরে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। নভেম্বরে গণপরিষদে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।

সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হলো ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান কেএম সফিউল্লাহ। প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার প্রথম সংখ্যা। আদিবাসী বাংলাদেশীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তাদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদী শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) এই চুক্তির বিরোধিতা করে। “আজাদ বাংলা” আন্দোলনের ডাক দিলেন অলি আহাদ। মোহাম্মদ তোয়াহা ও সুখেন্দু দস্তিদার গঠন করলেন পূর্ব বাংলার সাম্যবাদী দল (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জাসদ) যোগ দেন এমএ জলিল। মেজর আবু তাহেরও জাসদে যোগ দেন।

ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডেতে মেজর মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হিডেন প্রাইজ নামে একটি নিবন্ধ লেখেন; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে যোগ দেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টিতে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে, চীন এর বিরুদ্ধে ভেটো দেয়। মুক্তি পেল চাষী নজরুল ইসলামের ওরা ১১ জন। প্রকাশিত হল মাহমুদুল হকের জীবন আমার বোন। প্রকাশিত হয় হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকে

১৯৭৩

জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ; নিহত হন মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদিরুল ইসলাম। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) তৎকালীন সহসভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান ডাকসু থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেন। ফেব্রুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এক সফরে এসে শেখ মুজিবুর রহমান আদিবাসী বাংলাদেশীদেরকে “বাঙালি হয়ে যা” বলে পরামর্শ দেন। এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানের দালালি করা গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচন হয়; ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। আওয়ামী লীগ ৭৩.১৬% ভোট পেয়ে জয়লাভ করে। পূর্ব বাংলার সাম্যবাদী দলের (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) নাম বদলে রাখা হয় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)। আগস্টে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর) গণঐক্যজোট গঠন করে। সেপ্টেম্বরে সংবিধান সংশোধন করে তাতে জরুরী অবস্থা ঘোষণার বিধান জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ডিসেম্বরে হরতাল ডাকে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি। প্রকাশিত হলো আহমদ ছফার বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস। প্রকাশিত হলো হুমায়ূন আহমেদের শঙ্খনীল কারাগার। মুক্তি পেলো আলমগীর কবিরের ধীরে বহে মেঘনা, জহিরুল হকের রংবাজ

১৯৭৪

দুই বছরে তেলের দামের ৫০০% বৃদ্ধি। দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের ১৫ লাখ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। কবি রফিক আজাদ লিখলেন ভাত দে হারামজাদা। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় অনেক বস্তি। আজম খান গাইলেন রেললাইনের ওই বস্তিতে। বাংলাদেশের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয় পিটার প্রেসটনের নিবন্ধ ডেথ অফ এ নেশন। প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন সংশোধনী বিল কণ্ঠভোটে পাশ। বিশেষ ক্ষমতা আইন বিল কণ্ঠভোটে পাশ। জাতীয় রক্ষীবাহিনী (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল কণ্ঠভোটে পাশ। প্রতিবাদে স্বতন্ত্র সদস্যরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। ফেব্রুয়ারিতে অরুণা সেনের ওপর জাতীয় রক্ষীবাহিনীর নির্যাতন। দিল্লিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিদেশীয় চুক্তি। মার্চে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় গ্রেপ্তার হলেন এমএ জলিল। একই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক আহমদ শরীফের নেতৃত্বে গঠিত হল মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটি। সাপ্তাহিক বিচিত্রার স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত হলো জিয়াউর রহমানের নিবন্ধ একটি জাতির জন্ম। লাহোরে ইসলামি ঐক্য সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয় বাংলাদেশ; এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন শেখ মুজিবুর রহমান। অক্টোবরে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। চারদিন পর হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশ সফরে আসেন। ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল্লাহ জরুরী অবস্থা জারি করেন। প্রকাশিত হলো শাহরিয়ার কবিরের ওদের জানিয়ে দাও ও বদরুদ্দীন উমরের যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ

১৯৭৫

ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করলেন শেখ মুজিবুর রহমান। হংকং ভিত্তিক ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ‘য়ের এক প্রতিবেদনে ডেভিড হার্স্ট লেখেন, “[জরুরী অবস্থা জারি করে] শেখ মুজিবুর রহমান অবশেষে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। […] যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে, সে জন্যই জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে।” জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ করার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হল; শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট হলেন; একদলীয় স্বৈরাচার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক বাকশালে যোগদান করেন। যোগদান না করা শিক্ষকদের তালিকা খুবই ছোট; এরা হলেন: আহমদ শরীফ, সনজীদা খাতুন, আবুল কাশেম ফজলুল হক, মমতাজুর রহমান তরফদার, আবদুল লতিফ, আহমেদ কামাল, স্বপন আদনান, আলবাব আখন্দ ও মুনতাসীর মামুন। জুনে নিউজ পেপারস ডিক্লারেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স পাশের ভেতর দিয়ে মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সব পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া হয়। পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদার গ্রেপ্তার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত।

নতুন প্রেসিডেন্ট হন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে জারি হয় সামরিক আইন। জারি হয় “রাজনৈতিক দল (নিষিদ্ধকরণ) অধ্যাদেশ”। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পেলেন জিয়াউর রহমান। সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে বাকশাল বাতিল করা হলো। একই মাসে প্রেসিডেন্ট ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করলেন; যাতে বলা হলো, আগস্ট অভ্যুত্থানে জড়িত কারো বিচার করা যাবে না। নভেম্বরে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অংশের মধ্যে রক্তাক্ত ক্ষমতার লড়াই শেষে ক্ষমতায় আসলেন জিয়াউর রহমান। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আত্মগোপনে গেলেন, গঠিত হলো জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা: শান্তিবাহিনী।

১৯৭৬

বাংলাদেশে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি সায়েম জারি করলেন রাজনৈতিক দলবিধি। সাম্যবাদী দলের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনপন্থী কমিউনিস্ট মোহাম্মদ তোয়াহা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এই চারটি দলকে নিষিদ্ধ করে “দেশপ্রেমিক দলগুলোকে” রাজনীতির সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্ববান জানান। মৃত্যুবরণ করেন মৌলানা ভাসানি। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হলেন জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হলো। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হলো। প্রকাশিত হলো আহমদ ছফার বাঙালি মুসলমানের মন

১৯৭৭

বিচারপতি সায়েমের পদত্যাগ, নতুন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সংবিধান সংশোধন করে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” যুক্ত করা হলো, ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গায় এল “সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস”, সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা করা হলো “অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার”। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জিয়াউর রহমান তার ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। পূর্বপ্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গণভোটের আয়োজন করলেন, জিয়াউর রহমানের পক্ষে ৯৮.৯% ভোট পড়ল। বগুড়া সেনানিবাসে বিদ্রোহ। বিদ্রোহ দমন, ১১৪৩ জনকে ফাঁসি। এক সামরিক ফরমান জারি করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ডেমোক্রেটিক লীগকে নিষিদ্ধ করা হলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে এ সময় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার রাজবন্দী জেলে ছিলেন; যাদের অধিকাংশই ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাসদ ও সিপিবির সদস্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে শান্তিবাহিনীর রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের সূচনা। জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ভারত সফর করলেন; সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে। প্রকাশিত হলো মাহমুদুল হকের কালো বরফ। মুক্তি পেলো সুভাষ দত্তের বসুন্ধরা

১৯৭৮

জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার ও রাজনীতি করার অনুমতি দেয়া হলো। ফেব্রুয়ারিতে জিয়াউর রহমান গঠন করলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)। মে মাসে জিয়াউর রহমানকে চেয়ারম্যান করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হলো জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জুনে প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন। জিয়াউর রহমান ৭৬.৩৩% ভোট পেয়ে বিজয়ী হলেন। আগস্টে গঠিত হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও তিন মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসলেন গোলাম আযম। জিয়াউর রহমানের আমলে পাঁচবার বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সে আবেদন গৃহীত হয়নি। প্রকাশিত হলো কায়েস আহমেদের অন্ধ তীরন্দাজ। মুক্তি পেলো আমজাদ হোসেনের গোলাপি এখন ট্রেনে, আবদুল্লাহ আল মামুনের সারেং বৌ

১৯৭৯

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সামরিক শাসন তুলে নেয়া হলো, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তাতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসল বিএনপি। চীনে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক দল পাঠানো হয়। মুক্তি পেলো মহিউদ্দিন সরকার ও শেখ নিয়ামত আলীর সূর্য দীঘল বাড়ি

১৯৮০

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে এক জনসভায় জিয়াউর রহমানের “বাড়াবাড়ি”র বিরোধিতা করেন; কাবুলের মতো “বাংলাদেশেও বিপ্লব ঘটিয়ে” দেয়ার হুমকি দেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের দায়ে মামলা করা হয়। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশে ডিসেম্বর নাগাদ ৬৫ হাজার গ্রাম সরকার তৈরির কাজ শেষ হয়। দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফর করলেন জিয়াউর রহমান; প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। প্রকাশিত হলো সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা গদ্যের সামাজিক ব্যাকরণ। মুক্তি পেলো সালাউদ্দিন জাকির ঘুড্ডি, বাদল রহমানের এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী

১৯৮১

হিজবুল বাহার জাহাজে করে নৌবিহারের আয়োজন করলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান; সারাদেশের ১৬০০ তরুণ তাতে যোগ দিলো। মে মাসে চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আততায়ীর হাতে নিহত হলেন। নভেম্বরে প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ৬৫.৮০% ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বিএনপি প্রার্থী বিচারপতি সাত্তার। ফিলিংস ব্যান্ডে বাজাতে শুরু করলেন ফারুক মাহফুজ আনাম, যিনি পরবর্তীতে জেমস নামে পরিচিত হয়ে উঠেন।

১৯৮২

জানুয়ারিতে বিএনপিতে যোগ দেন বেগম খালেদা জিয়া। মার্চে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। “দুর্নীতির” অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিএনপির ২৩৩ নেতাকর্মী। সেপ্টেম্বরে শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান প্রকাশ করলেন জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া। এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে গঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত।

১৯৮৩

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের শিক্ষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাঁচ ছাত্র নিহত; এরা হলেন জয়নাল, কাঞ্চন, মোজাম্মেল, জাফর ও দীপালি সাহা। মার্চে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেপ্টেম্বরে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭-দলীয় জোট ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। জনসংহতি আন্দোলনের প্রীতি কুমার চাকমা গ্রুপের হাতে খুন হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। প্রকাশিত হয় মওদুদ আহমেদের বাংলাদেশ: শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল

১৯৮৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৮৫

মার্চে বাংলাদেশে গণভোট আয়োজন করা হলো, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পক্ষে ভোট পড়ল ৯৪.১৪%। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কনফারেন্স অন রিলিজিয়ন অ্যান্ড পিসের প্রতিবেদনে আদিবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে আইএলওর কনভেনশন মেনে না চলায় বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করা হলো।

১৯৮৬

জানুয়ারিতে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করলেন। মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হলো। আগস্টে এরশাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে গেলেন। সেপ্টেম্বরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলেন ও চেয়ারম্যান হলেন। অক্টোবরে প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হলো। শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে তাদের নিজ নিজ বাসায় অন্তরীণ করা হলো। শান্তিবাহিনীর সঙ্গে সেটেলার বাঙালিদের সংঘাত দেখা দিলো, বহু আদিবাসী বাংলাদেশী পালিয়ে গিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় নিলো। প্রকাশিত হলো কায়েস আহমেদের দিনযাপন ও নির্বাসিত একজন

১৯৮৭

নূর হোসেন হত্যাকাণ্ড। প্রকাশিত হলো আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাই

১৯৮৮

মার্চে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করলেন, প্রধান বিরোধী দলগুলো একযোগে নির্বাচন বর্জন করে। এপ্রিলের মধ্যে গোলাম আযমকে বাংলাদেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলো; তিনি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে বাংলাদেশে রয়ে গেলেন। মে মাসে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করা হলো। প্রকাশিত হলো শহীদুল জহিরের জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

১৯৮৯

পার্বত্য চট্টগ্রামে গঠিত হলো হিল ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। মুক্তি পেলো তোজাম্মেল হক বকুলের বেদের মেয়ে জোসনা ও তারেক মাসুদের আদম সুরত

১৯৯০

বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতন। এসময় ৯০ হাজার আদিবাসী বাংলাদেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবন যাপন করছিল। প্রকাশিত হলো আহমদ ছফার অলাতচক্র

১৯৯১

অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এরশাদ কারাবন্দী হলেন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জিতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসল। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু। ডিসেম্বরে জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন গোলাম আযম। পার্বত্য চট্টগ্রামে এ-সময় আদিবাসী বাংলাদেশীদের জনসংখ্যার হার (৫১.৩৪%) আর বাঙালিদের জনসংখ্যার হার (৪৮.৬৬%) প্রায় সমান। সাইক্লোনে দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু। প্রকাশিত হলো তসলিমা নাসরিনের নির্বাচিত কলাম। মুক্তি পেলো এহতেশামের চাঁদনী

১৯৯২

জানুয়ারিতে গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় ১০১ সদস্যের একটি নাগরিক কমিটি গঠন করা হলো। মার্চে বিদেশী নাগরিক আইনের আওতায় গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গণআদালতে গোলাম আযমের বিচারের রায় ঘোষিত হলো। আন্তর্জাতিক চাপে শান্তিবাহিনী একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। বিএনপি সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির আলোচনা শুরু। প্রকাশিত হলো কবিতা চাকমার জ্বলি ন’ উধিম কিত্তেই। প্রকাশিত হলো হুমায়ুন আজাদের নারী। মুক্তি পেলো কাজী হায়াতের দাঙ্গা

১৯৯৩

বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ফতোয়া। মুক্তি পেলো সোহানুর রহমান সোহানের কেয়ামত থেকে কেয়ামত

১৯৯৪

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের রূপরেখা ঘোষণা করল।

১৯৯৫

দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামের এক কিশোরীকে পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যা করল; এর বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন দেখা দিলো। ধর্ষণ বিরোধী গণআন্দোলনে সাত জন শহিদ হলেন। প্রকাশিত হলো শহীদুল জহিরের সে রাতে পূর্ণিমা ছিল। মুক্তি পেলো তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদের মুক্তির গান

১৯৯৬

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। মার্চে গৃহীত হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলো। নভেম্বরে জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপিত হলো। অপহৃত হলেন আদিবাসী বাংলাদেশি নেত্রী কল্পনা চাকমা। রাঙামাটির লংগদুতে ২৮ জন বাঙালি কাঠুরিয়া খুন। রাষ্ট্রীয় তরফে শান্তিবাহিনীর দিকে আঙুল তোলা হল। জনসংহতি সমিতি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করল। প্রকাশিত হলো আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা

১৯৯৭

ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়; এর মধ্যদিয়ে দুই দশকের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটল। এই সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১টি গণহত্যা ঘটে। এগুলো হলো: মুবাছড়ি (১৯৭৯), কাউখালি-কলমপতি (১৯৮০), বরকল (১৯৮৪), পানছড়ি, মাটিরাঙা ও তাইনদং গণহত্যা (১৯৮৬), হীরাচর, সর্বতলি, খাগড়াছড়ি, পাবলাখালি গণহত্যা (১৯৮৮), লংগদু গণহত্যা (১৯৮৯), মালইয়া ও লোগাং গণহত্যা (১৯৯২) এবং নান্যারচর গণহত্যা (১৯৯৩)। সরকারি হিসেবে গৃহযুদ্ধ চলাকালে ৮ হাজার আদিবাসী বাংলাদেশী খুন হয়েছে; অবশ্য আদিবাসী বাংলাদেশীদের দাবি, এ সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। শিখা চিরন্তনের উদ্বোধন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যু।

১৯৯৮

সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আটকাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করল। আবুল বারাকাত আর সফিক উজ জামান পরিচালিত এক সমীক্ষা থেকে জানা গেল, তিন দশকে ১০ লাখ হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়েছে, আর জমি হারিয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার একর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিলো ধর্ষণবিরোধী ছাত্রী আন্দোলন। শওকত ওসমানের মৃত্যু।

১৯৯৯

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট মিলে চারদলীয় জোট গঠন করল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে থার্টি ফাস্ট নাইটের প্রোগ্রামে লাঞ্চিত হন শাওন আখতার বাঁধন নামের এক তরুণী। মুক্তি পেলো তানভীর মোকাম্মেলের চিত্রা নদীর পারে

২০০০

এই দশকের মাঝামাঝি ফেসবুক, টুইটারসহ একগুচ্ছ নিউ মিডিয়া’র আবির্ভাব।

২০০১

চারদলীয় জোট থেকে বেরিয়ে এল জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করল। নির্বাচন পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। বিচারপতি গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সবধরনের ফতোয়াকে বেআইনী ঘোষণা করেন। ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, “হাইকোর্ট বিভাগের যে দুজন বিচারপতি ফতোয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, তারা মুরতাদ।” পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত, আহত ৫০ এরও বেশি।

২০০২

জুনে আদমজি পাটকল বন্ধ করে দেয়া হলো। প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর পদত্যাগ। অপারেশন ক্লিনহার্টের সূচনা। গঠিত হলো গণসংহতি আন্দোলন। মুক্তি পেলো তারেক মাসুদের মাটির ময়না

২০০৩

এ বছর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা নেই।

২০০৪

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) গঠিত। র‍্যাবের হাতে আওয়ামী লীগের যুবসংগঠনের নেতা সুমন আহমেদ মজুমদার, গ্যাংস্টার পিচ্চি হান্নান ও পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোফাখখর চৌধুরী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার। আগস্টে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা; আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত, আহত কয়েকশ। অধ্যাপক বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন। মুক্তি পেলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্যাচেলর

২০০৫

বাংলাদেশে ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালাল জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), এতে ২ জন নিহত ও ১০৪ জন আহত।

২০০৬

বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ গঠন করলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সহিংস লগি-বৈঠা আন্দোলন। নিহত ১১, আহত কয়েক হাজার। দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত কয়লাখনি বিরোধী গণআন্দোলন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিডিআর-পুলিশের গুলিতে খুন হন আমিন, তরিকুল ও সালেকীন নামের তিন তরুণ; ১৪৪ ধারা জারি।

২০০৭

১/১১, জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ। ফেব্রুয়ারিতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নাগরিক শক্তি নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। জুনে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী গঠন করেন প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি। জুলাইয়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনী মেজর (অবঃ) শরিফুল হক ডালিমের বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করে ইন্টারপোল।

২০০৮

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয়।

২০০৯

বিডিআর বিদ্রোহ, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত। মুক্তি পেলো গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মনপুরা

২০১০

জানুয়ারিতে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষানীতিকে “ইসলাম বিরোধী” আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে গড়ে উঠল হেফাজতে ইসলাম। মার্চে গঠিত হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।

২০১১

ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে ফেলানি খাতুন নামে এক বাংলাদেশী কিশোরীর মৃত্যু সীমান্তের কাঁটাতারে পাঁচ ঘন্টা ঝুলে রইল তার লাশ। এই দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রচিন্তা ও মুক্তিফোরাম নামে দুটি রাজনৈতিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। বিডিআরের নাম বদলে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ বলে রায় দিলেন। মুক্তি পায় নাসিরুদ্দিন ইউসূফ বাচ্চুর গেরিলা। আজম খানের মৃত্যু। ক্ষুধার যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করে ফেরদৌসী আক্তার সোনাবরু।

২০১২

বাংলাদেশে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত হল ১৮ দলীয় ঐক্যজোট। পুলিশের লাঠিপেটায় নিহত চর ভাটিয়ানি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান; তিনি চাকরি সরকারিকরণ আন্দোলনের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় তাকে। তাজরিন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ শ্রমিকের মৃত্যু। বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু।

২০১৩

ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগ আন্দোলনের সূচনা। হেফাজতে ইসলামের উত্থান, ১৩ দফা দাবি উত্থাপন, এপ্রিলে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে পাল্টা সমাবেশ। নারায়ণগঞ্জে কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী খুন। হত্যা মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান। রানা প্লাজায় ১১৭৫ শ্রমিক কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার। বিডিআর বিদ্রোহের দায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড। আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে ব্লগার হত্যার সূচনা। বাংলাদেশ সরকার ২০০৬’র আইসিটি আইন সংশোধন করে ৫৭ ধারা যুক্ত করে, নিবর্তনমূলক আইনটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সুন্দরবনের রামপালে ভারতীয় স্বার্থে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে তেল, গ্যাস, ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঢাকা-সুন্দরবন লংমার্চ। অক্টোবরে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার ৩৭ মিনিট ফোনালাপ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করেন। হিমেল বরকতের সম্পাদনায় বাংলাদেশের আদিবাসী কাব্যসংগ্রহ প্রকাশিত। প্রকাশিত হলো রেহনুমা আহমেদের টর্চারড ট্রুথস

২০১৪

জাতীয় নির্বাচন, ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত, ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ। কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে আগুন দিয়ে উর্দুভাষী এক পরিবারের ৯ জনকে হত্যা। এ বছর নাগাদ দেশটিতে গুম হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৭০ জন, এদের মধ্যে ৯৪ জন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

২০১৫

ব্লগার অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ ও নিলয় চ্যাটার্জি নিলয় খুন। অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন খুন। বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ওপর আরোপিত ভ্যাট বাতিলের দাবিতে নো ভ্যাট অন এডুকেশন আন্দোলন শুরু।

২০১৬

হোলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলায় ২৯ জন নিহত। হামলাকারীরা আইএস ভাবাদর্শী ছিল। এ সময় পুলিশ রেস্তোরাঁটির বাবুর্চির সহকারী জাকির হোসেন শাওনকে খুন করে। সরকারের আইসিটি ডিভিশন প্রাইভেট সেক্টর ডেভলাপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট’র আওতায় কড়াইল বস্তির ১৯ হেক্টর জমির ওপর একটি হাই-টেক পার্ক তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়। এতে অর্থ যোগাবে বিশ্বব্যাংক আর যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্ট (ডিএফআইডি)। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী এই বস্তিতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে, সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এরা বাস্তুচ্যুত হবে। সোহাগি জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার, মৃতদেহ পাওয়া যায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সীমানায়।

২০১৭

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা। ১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে। স্বাধীনতার পরবর্তী ৪৫ বছরে ভারতীয় সীমান্তে ১৩৯১ জন বাংলাদেশী নিহত ও ১২০৬ জন আহত হয়; শুধুমাত্র ১৯৭৩ সালে সীমান্তে কোনো বাংলাদেশী খুন হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একটি ভুয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিট-ইন প্রটেস্ট শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’র (জিএফআই) এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৮ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ৬৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা পাচার।

২০১৮

পুলিশ হেফাজতে বিএনপিকর্মী জাকির হোসেন মিলন খুন। চুনারুঘাটের সাবেক কমিশনার ইউনূস আলীকে তার চার শিশুসন্তানের চোখের সামনে খুন করা হয়। টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক র‍্যাবের সঙ্গে “বন্দুকযুদ্ধে” নিহত হন; বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রকাশ করা এক অডিও ক্লিপ থেকে জানা যায়, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কোটা সংস্কার আন্দোলন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আগস্টে গ্রেপ্তার ও নির্যাতিত হন শহিদুল আলম। দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে; নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-এর মতো ব্যক্তি ও সংগঠন বাংলাদেশ সরকারের কাছে শহিদুল আলমের মুক্তির আবেদন জানান। বছরের শেষদিকে হাইকোর্ট শহিদুলকে জামিন দেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন; বিরোধীরা এ নির্বাচন বয়কট করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একে প্রহসন বলে আখ্যায়িত করে। বিএনপিপন্থী হওয়ায় সুবর্ণচরে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু।

২০১৯

নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১৫ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা শেষে অবসরে গেলেন ঝিনাইদহের পিডি আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সুকুমার সাহা। গত এক দশকে ২৬৭৫২ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে ফেরে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) এক প্রতিবেদন অনুসারে, এক দশকে ৫০৯ জন বাংলাদেশী ফোর্সড ডিজ্যাপ্যায়ারেন্সের শিকার হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৫৯ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রানা প্লাজা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পূর্তির দিনে আত্মহত্যা করেন রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী নওশাদ হাসান হিমু। ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ল করোনা ভাইরাস। মুক্তি পেলো রুবাইয়াত হোসেনের মেড ইন বাংলাদেশ

২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনা সংকটকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরী অবস্থা বলে ঘোষণা করে। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’র (জিএফআই) এক প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমন, দেশ জুড়ে প্রতিবাদ, খুন-মামলা-গ্রেপ্তার। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ৪২টি মামলায় ১০৩ জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এতে ৭১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বাংলাদেশে সজীব গ্রুপের মালিকানাধীন সেজান জুসের ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যু। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে ২৬ হাজার ১৯৫ জনের মৃত্যু।●

ইরফানুর রহমান রাফিন, অনুবাদক-গবেষক-লেখক।

তথ্যসূত্র

আজাদ, হুমায়ুন, লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, ঢাকা: আগামী, দ্বিতীয় সংস্করণ সপ্তদশ মুদ্রণ ২০১৯ [১৯৭৬]

কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী, ঢাকা: আগামী, দ্বিতীয় সংস্করণ একাদশ মুদ্রণ ২০২১ [১৯৮৭]

আহমদ, মহিউদ্দিন, বেলা-অবেলা: বাংলাদেশ ১৯৭২-১৯৭৫, ঢাকা: বাতিঘর, দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০২০ [২০২০]

বিএনপি: সময়-অসময়, ঢাকা: প্রথমা, পঞ্চম সংস্করণ অষ্টম মুদ্রণ ২০২১ [২০১৬]

খান, আব্দুল জাব্বার, “এক যুগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: ৪২ রায়ে ৭১ মৃত্যুদণ্ড“, নিউজবাংলাটোয়েন্টিফোরডটকম, ২৫ মার্চ ২০২১য়ে প্রকাশিত

খান, ডা. ইশতিয়াক ইসলাম, আমার অহংকার, আমি গান ‘শুনি’ এই যুগের, ঢাকা: বর্ষাদুপুর, ২০২০

ক্রিডো – ক্রাইসিস ডকুমেন্টেশন সেন্টার, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ২০২১, ২ মে ২০২১য়ে প্রকাশিত

ত্রিপুরা, প্রশান্ত, বহুজাতির বাংলাদেশ: স্বরূপ অন্বেষণ ও অস্বীকৃতির ইতিহাস, ঢাকা: সংবেদ, ২০১৫

রহমান, মুহাম্মদ হাবিবুর, বাংলাদেশের তারিখ, ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স, চতুর্থ মুদ্রণ ২০১৪ [১৯৯৮]

বাংলাদেশের তারিখ [দ্বিতীয় খণ্ড], ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স, তৃতীয় মুদ্রণ ২০১৭ [২০০৮]

রাফিন, ইরফানুর রহমান, এক অসাধারণ অন্ধ সময়ের স্মৃতি, ঢাকা: আফসার ব্রাদার্স, ২০২১

রায়, অনুপম দেবাশীষ, কালকের আন্দোলন আজকের আন্দোলন: শাহবাগ আন্দোলন ও তার পূর্বাপর সময়ে আন্দোলনের রাজনৈতিক অর্থনীতি, ঢাকা: আদর্শ, ২০২০

শাহরিয়ার, খন্দকার স্বনন, মধ্যযুগের বাংলা: বখতিয়ার খলজি থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা, ঢাকা: বাতিঘর, ২০২১

Ali, Mohammad and Rahman, Sajjadur, “Misinvoicing costs country Tk64,000 crore a year“, The Business Standard, published on March 3rd 2020

Bhuiyan, Humayun Kabir, “1391 Bangladeshi killed by Indians“, The Independent, published on February 23rd 2017

Haq, Fahmidul, Cinema of Bangladesh: A Brief History, Dhaka: Nokta, 2020

Khalil, Tasneem, Jallad: Death Squads and State Terror in South Asia, London: Pluto Press, 2016

Mahmud, Abu Hayat, “Fear of eviction haunts Karail slum dwellers“, Dhaka Tribune, published on November 1st 2016

Mohaiemen, Naeem (ed.), Between Ashes and Hope: Chittagong Hill Tracts in the Blind Spot of Bangladesh Nationalism, Dhaka: Drishtipat Writers Collective, 2010

Riaz, Ali, Bangladesh: A Political History since Independence, London & New York: I.B. Tauris, 2016

Sourav, DS, “500,000C siphoned off from Bangladesh last year“, Dhaka Tribune, published on June 21st 2021

The CHT Commission, “Life is Not Ours: Land and Human Rights in the Chittagong Hill Tracts Bangladesh”, Copenhagen: IWGIA, update 3 1997 [1991]

“4 Tortured, Slain at Dacca Rally”, The New York Times, published on December 20th 1971

Van Schendel, Williem, A History of Bangladesh, Cambridge: Cambridge University Press, 2009

World Health Organization (WHO), Bangladesh: WHO Coronavirus (COVID-19) Dashboard