লন্ডনের ব্যস্ত সন্ধ্যায় চাটগাঁ হাউজে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের এক মিলনমেলা। সেই আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা পেলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার অঙ্গীকারে রাতভর উচ্ছ্বাসে ভরেছিল হলরুমটি। চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র ৪০ শতক জমি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রবাসীদের উচ্ছ্বাসে জমজমাট অনুষ্ঠান
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে–এর উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডনে বসবাসরত শতাধিক চাটগাঁবাসী এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমিতির চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন ভাইস চেয়ারপারসন সেলিম হোসাইন।

শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন সংগঠনের সদস্য হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন, আর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী চৌধুরী জয়া, জামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও জাসের নূর।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের পক্ষ থেকে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্মারক উপহার দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সমিতির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন মেয়র।
লন্ডনের বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন— সীতাকুণ্ড সমিতি ইউকে, ফটিকছড়ি কমিউনিটি ইউকে, সন্দ্বীপ সমিতি ইউকে এবং রাউজান-পটিয়া-রাঙ্গুনিয়া-চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রবাসীরা অনুষ্ঠানে এসে মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নতুন উদ্যোগের ঘোষণা
নিজ বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগরী গড়তে সিটি করপোরেশন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। তিনি প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের এসব উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় মেয়র ঘোষণা দেন, চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশন ৪০ শতক জমি প্রদান করবে। এই উদ্দেশে চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সমিতির চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী চৌধুরী জয়া এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষে মেয়র।
চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন বলেন, বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণকে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বিস্তার লাভ করবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সবাই মেয়রের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনের নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা।


