পুলিশের হেফাজত থেকে এক যুবলীগ নেতা পালানোর ঘটনায় থানার ওসিসহ তিন পুলিশসদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই এলো পুলিশসদস্যদের প্রত্যাহারের আদেশ। ওসি রাশেদুল ইসলামকে সরিয়ে লোহাগাড়া থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন আরিফুর রহমান।
জানা গেছে, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে লোহাগাড়ার যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সজিবকে কলাউজান বাংলাবাজার বাহাদুর পাড়ার আব্দুল আলমের বাড়ি থেকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে লোহাগাড়া থানায় সোপর্দ করে থানার সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। থানায় নিয়ে তাকে ডিউটি অফিসার আমির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর এক পর্যায়ে ওই যুবলীগ নেতা পালিয়ে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যুবলীগ নেতা সাইফুল পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে টাকার বিনিময়েই পালিয়েছেন।
এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, ডিউটি অফিসার আমির হোসেন, এসআই নাছিমা আক্তার ও সেন্ট্রি কনস্টেবল এনামুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কলাউজান বলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুলের বিরুদ্ধে গরু চুরি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, থানার দালালি, মিথ্যামামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, জমিদখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সাইফুলের বিরুদ্ধে।
ঘটনা প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বাসা থেকে থানায় আসতে আসতে সাইফুল কোন ফাঁকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আমি উর্ধতন মহলে রিপোর্ট করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা যুবলীগ নেতা সাইফুলকে ধরে থানায় হস্তান্তর করেন। পরে সাইফুল কৌশলে থানা থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’