চট্টগ্রাম স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে মহানগর এক্সপ্রেস আর অপরপাশে নাসিরাবাদ মেইল। বগিতে ইঞ্জিন লাগানোর প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু এর আগেই প্রতিটি বগি কানায় কানায় পূর্ণ। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এরমধ্যে দেখা মিললো তিন বছরের ছোট্ট শিশু মারুফের। ঈদের আনন্দ বোঝার বয়স হয়নি তার। তবুও বাবা-মায়ের সঙ্গে যাচ্ছে নানার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ করতে। এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঈদের খুশি যেন পেয়ে বসেছে তাকে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের এ দৃশ্য রোববার (১ মে) দুপুর আড়াইটার।
সরেজমিন রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত দুটি বগি সংযোজন করা হয়েছে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে। এছাড়া সুবর্ণায় তিনটি, মহানগরে দুটি, বিজয়ে দুটি এবং সোনার বাংলায় দুটি করে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত বগি লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্টেশন মাস্টার গ্রেড (২) শফিক বলেন, ‘অতিরিক্ত ২টি বগি দিয়ে আসলে যাত্রীর চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য অতিরিক্ত ১৬টি বগি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে তা ঈদের জনস্রোত সামাল দিতে অপ্রতুল।’
সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পূর্ব) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বিনা টিকিটে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছে। মানুষকে সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট সদস্যরা হ্যান্ড মাইক স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছে।’
রেল পূর্বাঞ্চল চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রচণ্ড জনস্রোতের মধ্যে মানুষ যাতে একটু শান্তিতে ভ্রমণ করতে পারে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি। তবে ঘরেফেরার জনস্রোত সামাল দেওয়াটা সত্যি কষ্টকর।’
জেএস/ডিজে