চট্টগ্রামে শিশুখাদ্য তৈরি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টে, কারখানায় চরম নোংরা পরিবেশ

পাথরঘাটার হিফস এগ্রো ফুডে অভিযান

চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানটি শিশুখাদ্য তৈরি করে বাজারে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে আকর্ষণীয় মোড়কে ঢাকা চকলেট, জেলি, ক্রিম বিস্কুট, নুডলস, চিপস, ক্র্যাকার্সসহ আরও অনেক কিছু। ‘রয়েল’, ‘হিফস’ ও ‘উইনার’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে এসব কিছু বাজারে ছাড়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির নাম হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রি। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় এর কারখানা।

চট্টগ্রামে শিশুখাদ্য তৈরি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টে, কারখানায় চরম নোংরা পরিবেশ 1

সেই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্য কর্মকর্তারা বিস্মিত হয়ে যান। চরম নোংরা পরিবেশে সেখানে শিশুখাদ্যগুলো তৈরি করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, আকর্ষণীয় মোড়কে ঢাকা চকলেট, জেলি, ক্রিম বিস্কুট, নুডলস, চিপস, ক্র্যাকার্সসহ সব খাদ্যপণ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট।

চট্টগ্রামে শিশুখাদ্য তৈরি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টে, কারখানায় চরম নোংরা পরিবেশ 2

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পাথরঘাটা এলাকায় হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রির কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ওই শিশুখাদ্য শিল্প কারখানায় আরও দেখা যায়, সেখানে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘনে ছাড়াও যথাযথ নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছিল না।

Yakub Group

পরে মোবাইল কোর্ট বিভিন্ন অপরাধে হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী তিন লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করে। এরপর সেই জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অভিযানকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মোল্লা, চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াছিনুল হক চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে সহযোগিতা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!