চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট ল্যাবে নিয়ে যান দালালরা। মেডিকেল এলাকার আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব ল্যাবে রোগী পাঠালে কমিশন যায় দালালদের পকেটে। সেই লোভে নিম্নমানের এসব ল্যাবে রোগীদের নিয়ে যান দালালরা। এমনই এক ল্যাবে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় তিন দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন—সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরতি গ্রামের মৃত খোগেন্দ্র দাশের ছেলে বাদল দাশ (৫১), সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার মধ্যম সলিমপুরের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৪৫) এবং নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার নাটেশ্বর হাজী বাড়ির মৃত খেফায়েত উল্ল্যাহর ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৪)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের এনসিলারি ভবনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। ওই ভবনে মেডিসিন, সার্জারিসহ অন্যান্য রোগের বহির্বিভাগ সেবা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
নুরুল আলম আশেক বলেন, আটক বাদল দাশকে আগেও আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে আবারও সে রোগীদের ভাগিয়ে জেনেটিক ল্যাব নামের একটি প্রাইভেট ল্যাবে নিয়ে যাচ্ছিল। বাকি দু’জনও একই কাজ করছিল। আটক তিন দালালকে আটকের পর পাঁচলাইশ থানা হাজতে রেখে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইএমই/ডিজে