চুয়েটে ‘গ্রিন আর্কিটেকচার’ নিয়ে দুইদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শুরু হয়েছে ‘তৃতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অন গ্রিন আর্কিটেকচার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

স্থাপত্যবিদ্যার দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনটি চলবে ৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত। চুয়েট ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এসএম নাজমুল ইমাম, সম্মেলনের সভাপতি ও বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবুন নাসরিন আহমেদ, সম্মেলনের সহ-সভাপতি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাশ, সম্মেলনের সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।

এ বিষয়ে চুয়েট উপাচার্য বলেন, তরুণরাই টেকসই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। তরুণদের সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিই আগামী দিনের বাসযোগ্য বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে। আজকের বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানদানকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং উদ্ভাবন, নীতি প্রভাব এবং শিল্পখাতকে রূপান্তরিত করার চালিকাশক্তি। এমন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১২টা থেকে শুরু হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের মূল বক্তব্য উপস্থাপন। এতে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেনবোর্ন এর আর্কিটেকচার, বিল্ডিং এন্ড প্ল্যানিং ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসা নোগুচি এবং আরবানা বাংলাদেশ এর প্রধান স্থপতি আর কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। মূল বক্তব্য উপস্থাপনের পর সম্মেলনে মোট দুইটি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

টেকনিক্যাল সেশনের পাশাপাশি সম্মেলনের সৌন্দর্যবর্ধনে একটি বিশেষ আয়োজন ছিল স্থাপত্য শৈলী প্রদর্শনী। এ আয়োজনে চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা নানান স্থাপত্য শৈলী প্রদর্শন করা হয়। টেকনিক্যাল সেশনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

সম্মেলনের বিষয়ে চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সম্মেলন সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহী করা এবং উপস্থাপিত গবেষণা যাতে ভবিষ্যতে দেশ ও বিশ্বের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে অবকাঠামোগত কাজে অদক্ষতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ হয়। আমরা পরিবেশবান্ধবভাবে করার জন্য আগ্রহী করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও নীতিনির্ধারকেরা অংশ নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ এবং জ্ঞান আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থাপত্য বিভাগের এই সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও গবেষক অংশ নিয়েছে। দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি গবেষণা সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচারের ওপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। সম্মেলনে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়েছে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোস্টার উপস্থাপিত হবে।

এনএন/ডিজে

ksrm