চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রথমবারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি আধুনিক সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের তরুণদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা শিক্ষা-ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত হিসেবে দেখছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের খলিল মীর কলেজের সামনের ৪ একর জায়গার ওপর নির্মিত হওয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এদিন সভা উদ্যোক্তারা প্রস্তাবিত চার একর জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
উদ্যোক্তারা জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ কমানো এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এই তিন মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে কলেজটি গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক ল্যাব, আধুনিক একাডেমিক ভবন, গবেষণা সুযোগ এবং শিল্পখাতের সঙ্গে ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
অন্যতম উদ্যোক্তা কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি খলিলুর রহমান বলেন, একটা দেশ শুধু শিল্প দিয়ে উন্নত হয় না, টেকসই উন্নয়ন আসে শিক্ষা ও দক্ষতায়। আমাদের লক্ষ্য যুবসমাজকে এমন দক্ষ করে তোলা, যারা দেশ-বিদেশে নিজেদের যোগ্যতায় সুনাম অর্জন করবে। সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সেই ভিশন থেকেই শুরু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আহমেদুল হক, মীর গ্রুপের এমডি আব্দুস সালাম,
গাফফার নাহার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শামসুল আলম।
আরও উপস্থিত ছিলেন খলিল মীর কলেজের অধ্যক্ষ মিজবাউল হক, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবর, এবিটস সভাপতি ইদ্রিচ অপু।
স্থানীয়রা জানান, পটিয়া ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চট্টগ্রাম শহর বা ঢাকায় যেতে বাধ্য হন। অতিরিক্ত খরচ, নিরাপত্তা ও অভিভাবকদের মানসিক চাপ সব মিলিয়ে একটি বড় সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়।
নতুন কলেজ চালু হলে বহু পরিবার স্বস্তি পাবে।
কুসুমপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, শুরু থেকেই প্রকল্পটি একটি শক্তিশালী পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জরুরি। তাই আমি প্রস্তাব করেছি—‘হরিণখাইন খলিলুর রহমান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামটি। ভবিষ্যতে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হলে পটিয়া ও আশপাশের এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা বিদেশেও সম্ভাবনার নতুন দরজা খুঁজে পাবে।
উদ্যোক্তারা জানান, সরকারি অনুমোদন, অবকাঠামো নির্মাণ, কোর্স পরিকল্পনা ও একাডেমিক স্ট্রাকচার তৈরিসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান প্রকাশ করা হবে।
ডিজে




