বৃদ্ধা মা অসুখে পড়তেই বাসা থেকে বের করে দিল আপন ছেলে ও বউ মিলে

দেখভাল না করায় ছেলে-বউয়ের নামে মামলা

চট্টগ্রামের এক বৃদ্ধা স্বামী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর চলে যান নারায়ণগঞ্জে কর্মরত তার ছেলের কাছে। সেখানে তিনি গার্মেন্টসে কাজ খুঁজে নিলেও একপর্যায়ে হয়ে পড়েন অসুস্থ। এরপর আপন ছেলে ও তার বউ মিলে অসুস্থ ওই বৃদ্ধাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর থেকে তার ঠিকানা হয় রাস্তার ফুটপাত। শেষপর্যন্ত অসুস্থ সেই মা ভরণপোষণ না দেওয়ায় নিজের ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন থানায়।

সোমবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৩) তার আপন ছেলে মো. মহসীন (৩০) ও তার স্ত্রী সোনিয়া বেগমের (২৭) নামে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় এই মামলা করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম পেশায় ছিলেন বাসচালক। প্রায় এক যুগ আগে ছেলে মহসিন পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেম করে সোনিয়া বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের দুই বছর পর ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার রামারবাগ কাঠেরপুল এলাকায় কাজের সন্ধানে যান। সেখানে গিয়ে ছেলে টেইলারিংয়ের কাজ করে এবং ছেলের বউ গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। তারা ফতুল্লা এলাকার কাঠেরপুলস্থ ফজল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকে। এরই মধ্যে সাত বছর আগে মনোয়ারা বেগমের স্বামী নিখোঁজ হয়ে যান। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মনোয়ারা বেগম জানান, এরপর থেকে মাঝে মাঝে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ছেলের কাছে নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে গিয়ে আবার চট্টগ্রামে ফিরেও আসতেন। কিন্তু স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর একেবারেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লে দুই বছর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জে ছেলের কাছে চলে আসেন। সেখানে গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন এবং ছেলের সঙ্গে একই বাসায় বসবাস করে আসছেন।

দুই মাস আগে মনোয়ারা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলের কাছে ভরণপোষণ চান। তখন ছেলে ও তার বউ তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তারপর থেকে তিনি রাস্তায় রাস্তায় কাটাচ্ছেন।

Yakub Group

সর্বশেষ রোববার (২ অক্টোবর) রাত সাতটার দিকে তিনি ছেলের বাসায় গিয়ে তাকে দেখভাল করার আকুতি জানালে ছেলে ও তার বউ তাকে গালমন্দ করে বের করে দেয়।

এরপরই সোমবার (৩ অক্টোবর) আপন ছেলে মো. মহসীন ও তার স্ত্রী সোনিয়া বেগমের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন মনোয়ারা বেগম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm