চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজারের পুরনো আরাকান মহাসড়কে ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিএনজিচালক, ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ও তার ৭-৮ বছরের শিশুসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের মিলিটারি পুল এলাকার পটিয়া প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত মা-ছেলের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে নিহত সিএনজিচালকের নাম আনোয়ার বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তারেক মুরাদ চৌধুরী বলেন, ‘বোয়ালখালী থেকে ছেড়ে আসা পটিয়া অভিমুখী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি মিলিটারি পুল অতিক্রম করে পটিয়া অংশে পার হওয়ার পথেই বিপরীত দিক থেকে কালুরঘাটের দিকে যাওয়া দ্রুতগামী একটি ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ও তার ৭-৮ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান ঘটনাস্থলে নিহত হন। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারীটিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি হতে স্থানীয়দের সহায়তায় এক নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। তাদের স্বজনরা আসলে নাম পরিচয় পাওয়ার পর লাশগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিএনজিচালক আনোয়ারকে (৫৫) মৃত ঘোষণা করেন। বাকি একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবদুল বাতেন বলেন, ‘মিলিটারি পুল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের যৌথ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। এ সময় দুইজনকে মৃত অবস্থায় সিএনজি থেকে বের করে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পটিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সিপি