সড়কে মায়ের মৃত্যুর পর আহত দুই শিশু লড়ছে জীবনের সঙ্গে, অপারেশনের টাকাও নেই

দ্বারে দ্বারে সাহায্য চাইছেন নিঃস্ব বাবা

মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল জয় ও অজয়। বেড়ানোর পর ফিরছিল নিজের বাড়িতে। কিন্তু পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই ম্লান করে দিলো দুই শিশুর আনন্দ। অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে তাদের মা প্রাণ হারান হাসপাতালে নিতে নিতেই।

ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী মায়ের মুখাগ্নি দুই সন্তানের করার কথা থাকলেও তা হয়নি। গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিছানায় কাতরাচ্ছে জয় দে (১০) ও অজয় দে (৪)। তাদের শরীরের অর্ধেক ব্যান্ডেজে মোড়ানো। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে তারা। আর চিকিৎসা করাতে করাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাদের বাবা ফার্নিচার মিস্ত্রি সঞ্জয় দে।

জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন সুমী দে (৩৫) এবং তার দুই সন্তান জয় ও অজয়। ওইদিন দুপুর ৩টায় বারৈয়ারহাট থেকে জোরারগঞ্জ আসার পথে গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে এই দুর্ঘটনা আহত তারা। দুই সন্তানকে নিয়ে সুমী নিজের বাড়ি ফিরছিলেন বাবার বাড়ি থেকে। সুমী দে মিরসরাইয়ের ছদরমাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর সুমী দে’কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়।

তবে জয় দে ও অজয় দে’কে ভর্তি করানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে। জয় দে মাথয় আঘাত পেয়ে মগজ বেরিয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছেন, দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। আর অজয়ের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো।

এদিকে স্ত্রীকে হারানোর পর দুই সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সঞ্জয় দে। এই পর্যন্ত প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার ওপর খরচ হয়েছে তার।

Yakub Group

সঞ্জয় দে বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার ছেলেদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চাই। আমার সন্তানদের সুস্থ করে আমার কোলে ফিরিয়ে দিন আপনারা।’

চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জয়ের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। দ্রুত তার অপারেশন করানো উচিত।ֹ’

সঞ্জয় দে’কে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তার ০১৮৭৫৯৭৭৩৮১ (পার্সোনাল) নম্বরে বিকাশে অর্থ পাঠাতে পারবেন।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm