প্রায় দুই যুগ পর অবশেষে চট্টগ্রামের দুই গুরুত্বপূর্ণ কলেজ ওমরগণি এমইএস কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সম্মেলনের এই তারিখ ঘোষণা করতে হবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে।
চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী। প্রদীপ চৌধুরীসহ নগর ছাত্রলীগের ৩ নেতা সাংগঠনিক সফরে চট্টগ্রাম আসেন। এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শওকত হোসেন ছাড়াও সহ-সম্পাদক পদমর্যাদার এক নেতা।
ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের সর্বশেষ বৈধ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালে। অন্যদিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের দিবা ও নৈশ শাখায় সর্বশেষ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১০ সালে।
চট্টগ্রামে সাংগঠনিক সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রদীপ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নগর ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় যোগ দিতে আমরা চট্টগ্রামে এসেছি। আলোচনা পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ড আছে, সেগুলো আমরা জানতে চেয়েছি। সে বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন এমইএস কলেজ, সিটি কলেজের কমিটি হয় না। সেসব জায়গায় আমরা সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করতে বলেছি।’
চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের রাজনীতির ‘তীর্থস্থান’ হিসেবে পরিচিত দুই কলেজ ওমরগণি এমইএস কলেজ ও সিটি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের সর্বশেষ বৈধ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালে।
২০ বছর আগে দেওয়া সেই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন আবুল হোসেন আবু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সঞ্জয় ভৌমিক কংকন। এর ১০ বছর পর এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের দুই নেতা নিজেদের মতো করে দুটি কমিটি অনুমোদন দিলেও মূলধারার রাজনীতিতে সেভাবে কখনোই স্বীকৃতি পায়নি ওই দুই কমিটি।
পাল্টাপাল্টি সেই দুই কমিটির একটির সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান তারেক এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াস। এই কমিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আরশেদুল আলম বাচ্চুর আশীর্বাদপুষ্ট ছিল। অন্য কমিটির সভাপতি ছিলেন মো. মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অমল দাস। এই কমিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ওয়াসিম উদ্দিনের আশীর্বাদপুষ্ট ছিল।
অন্যদিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের দিবা ও নৈশ শাখায় সর্বশেষ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১০ সালে। সে সময়ে দিবা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান ইমতিয়াজ বাবলা ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইকবাল হোসেন। একই সময়ে নৈশ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পান আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় এম রাশেদ চৌধুরীকে। পরে ২০১৩ সালে এই দুই কমিটিই বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সিপি







