ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় ৪৫ মিনিট ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন বড়তাকিয়া স্টেশনে পর্যটনবাহী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। একই ট্রেন মহানগর প্রভাতী চট্টগ্রাম পাহাড়তলী স্টেশনে আরও একজনকে মেরেই এবার ডজন পূর্ণ করলো।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে পাহাড়তলী স্টেশনে মহানগর প্রভাতীর নিচে অজ্ঞাত এক (৪০) ব্যক্তি কাটা পড়ে নিহত হন।
পাহাড়তলী স্টেশনে কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার নোমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় মেলেনি।
জানা গেছে, মহানগর প্রভাতী সকাল ৮টায় ১৫ মিনিট বিলম্বে (ইঞ্জিন নম্বর ৩০২৩) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে।দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল ট্রেনটির।
দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন রোডে খৈয়াছড়া ঝর্না দেখে ফেরার পথে পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ট্রেনটি ধাক্কা দিলে ১১জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এই দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে পাহাড়তলী রেল স্টেশনে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তি সেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ৫ খণ্ড হয়ে যায়। ৫ ফুট অন্তর ওই ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন শরীরের অংশ রেললাইনে পড়ে থাকে।
দুপুরে ১১ জন ও বিকেলে একজনকে মেরে ঘাতক মহানগর প্রভাতী ট্রেন ডজন পূর্ণ করে ৬টা ১০ মিনিটে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট বিলম্বে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছায়।
জেএস/সিপি
ট্রেনকে ঘাতক বলা কতটা যৌক্তিক? কেউ যদি ট্রেনের নীচে এসে মরতে চায়, তবে তাদেরকে আত্মঘাতী বলাটা বেশি যুক্তিযুক্ত নয় কি?
আহা জীবন!
দেশের ৫০% গাড়ির চালককের লাইসেন্স নেই, ট্রেন আসতে দেখেও মাইক্রো চালক কেন ট্রেন লাইন এ গাড়ি উঠিয়ে ১১জনকে হত্যা করলো?? এই প্রশ্ন কেউ করেনা
১১ মৃত্যুর ঘটনায় ট্রেনের কি দোষ?
#২৯জুলাই
২০১৮ সালের রমিজুদ্দিন কলেজ শিক্ষার্থী দীয়া_করিম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে, তখন সংসদে সড়ক আইন ২০১৮ পাশ করে, এতে পরিবহণ ঘাতক ক্রোধ, আক্রোশে জেব্রাক্রসিং এর উপর শিক্ষার্থী পোশাকে ঐ একই স্থানে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে, বুক ফুলিয়ে চলে যায়, আজৌ ঘাতকদের ধরাই হলোনা,
২০১৮ সালের রমিজ উদ্দিন কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের “প্রথম শহীদ শিক্ষার্থী আদনান তাসিন”💥
২০১৮ সালের সড়ক আইন পাশ করার পর ঘাতকরা সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হত্যা শুরু করে, সিলেটে ওয়াসিম, সাভারে শিল্পি, গাজিপুরে সালাহউদ্দিন, চট্রগ্রামে আরিফকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে, এছাড়া ফাইজা, আবরার, লাবন্য, তানজিলা, আরিফ, সাব্বির, আবির, কত নিম না জানা শিক্ষার্থীদের একে একে হত্যা করে, কিন্তু আন্দোলন না হলে মিডিয়ায় আসেনা, ঘাতকদের ধরাও হয়না,
অথচ ২০১৮ সালে পাশকৃত সড়ক আইন ২০২১ সাল শেষ হয়ে আসলেও বাস্তবায়ন করা হলো না বরং সরকার আইনটিকে আরো নমনীয় করছে, সম্ভবত মে মাসের ২৫ তারিখের পরে! 😢.
#সড়কহত্যা এখন যেন উৎসব, ঘাতক হায়না আর শকুনদের কাছে, প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জনের অধিক প্রান হারায় সড়কে করোই কোন মাথা ব্যথা নেই – যেন সড়ক হত্যা কোন বৈধ হত্যাকাণ্ড ! আর হত্যাকাণ্ডের ২/৪ তি খবর মিডিয়ে এলেও বাকিগুলোর কোন হদিস নেই – আর
প্রতিটি ঘটনার একই কথা, “ঘাতক চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক” – এটা কি ব্যর্থতা নাকি স্বার্থের আফিম , নাকি উপরের নির্দেশ “ঘাতক ধরা নিষেধ ” – একের পর এক সড়ক হত্যাকাণ্ড হলেও কেউ কোন প্রতিবাদ করে না – প্রতিবাদ করতে পুরুষত্ব লাগে – দিন দিন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে ?