s alam cement
আক্রান্ত
৫১৪৯৯
সুস্থ
৩৭৪৯৪
মৃত্যু
৫৭৩

ঈদ আনন্দ জলে—রেলের ৫০০০ কর্মচারীর মাথায় হাত, বেতন পাননি কেউ

0

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার কর্মচারীর এপ্রিল মাসের বেতন-বোনাস পাননি। কারণ আইবাস সিস্টেমে কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেওয়া কথা। কিন্তু প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে বেতন-বোনাস আসেনি কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবি, নিউস্টোর ডিপো, সরঞ্জাম, যান্ত্রিক, ডিএমও, প্রকৌশল বিভাগের কয়েকটি দফতরে রেলকর্মীরা বোনাস পেলও বেতন পায়নি। আবার কেউ কোনোটাই পায়নি।

জানা গেছে, আইভাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল শাখার মাধ্যমে স্ব স্ব দফতরের কর্মকর্তাদের কোডে অধীনস্থ কর্মচারীদের বেতন-ভাতার টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ইএফটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চেকের অর্থ ছাড় দেওয়া হবে।

এদিকে এই ব্যবস্থায় রেলের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের বেতন গত ১ ও ৮ মে দেওয়ার কথা । এ তারিখ পিছিয়ে বুধবার (১২ মে) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে আইবাস সিস্টেমে বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আইবাস সিস্টেমে টাকা ছাড় না করায় বেতন-বোনাস পায়নি তারা ১৩ মে পর্যন্ত।

রেলকর্মীদের অভিযোগ, হিসাব বিভাগের কতিপয় কর্মচারী ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের খামখেয়ালির কারণে তারা বেতন ও বোনাস পাননি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রত্যেক দফতরে বেতনের চেক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাহাড়তলী অর্থ ও হিসাব শাখার ডেপুটি ফিনান্সিয়াল এ্যাডভাইজার মো. শাহজাহান।

Din Mohammed Convention Hall

আব্দুল হক (৬০) নামে এক কর্মচারী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ৮ জনের সংসারে আমিই একমাত্র উপার্জনকারী। পরিবার বাড়িতে থাকে। একদিন পরই ঈদ। কিন্তু এখনো বেতন পাইনি।

অর্থ ও হিসাব অধিকর্তা (পূর্ব) কামরুন্নাহার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সকল দফতরের চেক বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার মতিঝিল শাখা বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি আমরা। এই প্রথম দেশে নতুন সিস্টেম চালু হলো। সকলকে একটু ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বেতনের যাবতীয় কাগজপত্রসহ অর্থ ছাড় দিতে বাংলাদেশ বাংকে পাঠিয়েছি আমরা। আমি নিজেও ফোনে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। সঙ্গে বিষটি উল্লেখ করে চিঠিও দিয়েছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, ‘করোনার মহামারী ও স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা। তবে দেরি করে কাগজপত্র পাঠানো আর বন্ধের কারণে এই ঝামেলা হয়েছে। তাদের এই অবহেলার খেসারত দিচ্ছে প্রায় ৫ হাজার অসহায় রেলকর্মী।’

এমএফও

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm