s alam cement
আক্রান্ত
৫৬৮৮০
সুস্থ
৪৮৩৭৪
মৃত্যু
৬৬৬

একের পর এক ছুরি মেরে শাশুড়িকে হত্যা করলো পুত্রবধু

0

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধূর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শাশুড়ি ৩ দিন পর মারা গেলেন হাসপাতালে। নিহত রোকেয়া বেগম (৫৫) উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মৈশামুড়া মুন্দার পাড়ার ইলিয়াছ চৌধুরীর স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পরপর স্থানীয় জনতা পুত্রবধূ নাজমিন আক্তারকে (২৩) আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২১ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি রোকেয়ার সাথে ছেলে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী নাজমিনের তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পর্যায়ে নাজমিন তার শাশুড়িকে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে পেট ও হাতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শাশুড়ি রোকেয়াকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন মঙ্গলবার চমেক হাসপাতাল থেকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

ওই হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাশুড়ি মারা যান। অন্যদিকে, ঘটনার পরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা পুত্রবধূ নাজমিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ঘটনার রাতে মৃত রোকেয়ার স্বামী ইলিয়াছ চৌধুরী বাদি হয়ে পুত্রবধূকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Din Mohammed Convention Hall

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, পুত্রবধূ নাজমিন প্রায় সময় মোবাইলে অজ্ঞাত পুরুষের সাথে কথা বলত। বিভিন্ন সময় শ্বশুড়-শাশুড়ি তাকে নিষেধ করলেও সে শুনেনি। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে পুত্রবধূ বাবার বাড়ি থেকে মৈশামুড়া শ্বশুড় বাড়িতে আসে। এ সময় শাশুড়ির সাথে তর্ক ও ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে পুত্রবধূ শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।

সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার নাজমিনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তার ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

কেএস

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm