s alam cement
আক্রান্ত
৫৭৩৭০
সুস্থ
৪৮৩৭৪
মৃত্যু
৬৭৪

ওসি প্রদীপ ও বউয়ের সম্পত্তি থাকবে রাষ্ট্রের কাছে, রিসিভার নিয়োগ হচ্ছে

0

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার প্রধান আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রীর চুমকি কারণের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে এ আদেশ দেন।

ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত বছরের আগস্টে দুদক মামলা করে। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক এমরান হোসেন জানান, প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদক সূত্র জানায়, প্রদীপ কারাগারে যাওয়ার পর থেকে চুমকি পলাতক।

সোমবার (২৮ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন রিসিভার নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ইতিপূর্বে আদালত ক্রোক করেছেন। নগরের পাথরঘাটায় থাকা ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রিসিভার নিয়োগ করা হোক।

গত ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) একজন নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন প্রদীপ। ২০০২ সাল থেকে তাঁর সম্পদগুলো দৃশ্যমান হতে থাকে। নানা কারণে তিনি আলোচিত হতে থাকেন।

Din Mohammed Convention Hall

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশে প্রদীপ, তাঁর স্ত্রী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, নগরের পাথরঘাটা এলাকায় চুমকি কারণ তাঁর বাবার কাছ থেকে একটি ছয়তলা বাড়ি দানপত্রমূলে পেয়েছেন বলে সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু চুমকির দুই ভাই ও আরেক বোন বাবার কাছ থেকে কোনো বাড়ি পাননি। তাঁরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এতে বোঝা যায়, প্রদীপ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই বাড়ি করেছেন। কিন্তু কাগজপত্রে তাঁর শ্বশুরের নামে রাখেন। ২০১৩ সালে শ্বশুরের কাছ থেকে দানপত্রমূলে নিবন্ধন করে নেন তিনি। ওসি প্রদীপের সব সম্পত্তিই তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের নামে। চুমকি গৃহিণী। তাঁর বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস নেই। চুমকির নামে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার মধ্যে তিনি পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খরচ করেছেন ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

চুমকির আগের সঞ্চয়, উপহার, বাড়িভাড়া থেকে বৈধ আয় হিসেবে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। বৈধ আয় বাদ দিলে চুমকির নামে মোট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এটা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ ক্রয় করে স্ত্রীর নামে রেখেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে তথ্য পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গত রোববার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এমএহক

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm