কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যেভাবে পুষিয়ে দেবেন চবি শিক্ষকেরা
পেনশন স্কিমের জোরাজুরিতে অচল বিশ্ববিদ্যালয়
পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চলমান শিক্ষকদের ডাকা সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের যে সাময়িক ক্ষতি হচ্ছে তা প্রশাসনের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ক্লাস, অনলাইন ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পুষিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
অন্যদিকে একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যত অচল হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ কারণে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরা কখনও চাই না শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। করোনা মহামারীর সময়ে সেশনজট তৈরি হয়েছিল। আমরা অনলাইনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে অনেকাংশেই সেশনজট মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। সাময়িকভাবে মনে হতে পারে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ আন্দোলন বর্তমান শিক্ষকদের স্বার্থের জন্য নয়। এ আন্দোলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, শিক্ষার্থীদের জন্যই।’
জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক এই ডিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে আরও বলেন, ‘আগামী দিনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সকল জায়গাতে আসবে, কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এবং শিক্ষকতার প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই আন্দোলন। আমরা আশা করছি, আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হবে, এবং আমরা ক্লাসে ফিরবো। আমরা চেষ্টা করব, এ আন্দোলনের ফলে যতটুক ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা সারিয়ে নিতে।’
এমআই