চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় এক মাতাল সিএনজি চালককে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। দুই মহিলা যাত্রীকে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জনতা বাবুল হোসন বাবু (৩৫) নামে ওই মাতাল চালককে মারধর করে।
পরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশাটি (চট্টমেট্রো-থ ১২-৪৩৬৯) জব্ধ করা হয়। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে কাজীর দেউড়ি এলাকার ভিআইপি টাওয়ারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগিদের একজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, জিইসি মোড় থেকে বোন জামাইসহ আমরা দুইবোন শপিং শেষ করে কাজির দেউড়ির বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠি।
কিছুদূর আসার পর সে অস্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো শুরু করে এবং দুটি সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। আমরা আস্তে চালাতে বললে সে আমাদেরকে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলে, এবং সাথে সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে।
সে বলে, রাস্তায় গাড়ি চল্লে এরকম হবে। আমরা তাকে গাড়ি থামাতে বলায় সে ভীষণভাবে আমাদের মা-বাবা তুলে গালাগালি দেওয়া শুরু করে। তখন আমরা বুঝতে পারি সে মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে।
গাড়িটি একপর্যায়ে ভিআইপি টাওয়ারের সামনে আসলে আমাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে পথচারিরা সিএনজির পথরোধ করে। কিন্তু সিএনজি চালকটি সেই পথচারিদেরকেও গালাগাল শুরু করে,এবং এক পথচারির উপর সিএনজি তুলে তাকে আহত করে। পরবর্তীতে উপস্থিত পথচারিরা আমাদের সিএনজি থেকে উদ্ধার করে ড্রাইভারকে গণধোলাই দেয়।
ড্রাইভার বাবুল যে মাতাল অবস্থায় ছিলেন তা উপস্থিত একাধিক পুলিশ সদস্য স্বীকার করেছেন। সিএনজিটির মালিক নাসির উদ্দিন নামে একজন।
তবে সেই মাতাল চালককে থানায় হস্তান্তর নিয়ে ছলচাতুরি করছে পুলিশ। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কাজির দেউড়ির এক পুলিশ সদস্য এ বিষয়ে নিউজ না করার অনুরোধ করেন এই প্রতিবেদককে।
উপস্থিত জনতা সিএনজিটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার বলে দাবি করেন, তবে সিএনজির মালিক পুলিশ সদস্য কিনা তা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাদকাসক্ত ড্রাইভারকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রেজাউল করিমের সাথে।
রাত সাড়ে ১০টায় তিনি জানান, অভিযুক্ত ড্রাইভারের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে তার বিষয়ে সিদ্বান্ত নেওয়া হচ্চ্ছে বলে জানান তিনি।
বিএস/কেএস