হত্যার পর লুকিয়ে ছিল কুমিল্লায়, চট্টগ্রাম ফেরার পথে ধরা হাটহাজারীর হত্যা মামলার আসামি

0

ফেনী থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার হত্যা মামলার আসামি সুমন নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব। সুমন উপজেলার মির্জাপুরের চাঞ্চল্যকর মো. হোসেন ওরফে বাচা (৪২) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।

বৃহষ্পতিবার বিকেলে র‌্যাব জানায়, বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকা থেকে সুমনকে আটক করা হয় । আটক সুমন নিহত মো. হোসেন ওরফে বাচার সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।

নিহত হোসেন প্রকাশ বাচা কুয়েত প্রবাসী। তিনি ওই এলাকার মৃত লতু মিয়া মিস্ত্রীর পুত্র। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে শিশু রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, পারিবারিক কারণে সুমনের মাকে মারধর করেন নিহত মো. হোসেন ওরফে বাচা। সেখান থেকে বাচার ওপর সুমনের রাগ জমে। এরপর বাচার সৎ বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে সুমন।

ঘটনার পর সুমনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বাচা ও তার ভাই কালু। সেই মামলায় সুমন ১ বছর কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে আসে। এছাড়া তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ ছিল। মূলত এসব ঘটনার জের ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর বাচাকে কুপিয়ে হত্যা করে সুমন।

মো. হোসেন ওরফে বাচাকে হত্যা করার জন্য সুমন প্রথমে সোহেল বাহিনীকে ভাড়া করে। আসামিরা হাটহাজারী থানার চারিয়াতে একত্রিত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে হত্যার পরিকল্পনা করে। বাহিনির সবাই মিলে বাচাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।

একপর্যায়ে সুমন তার মাকে মারধরের আক্রোশে বাচার হাতের কব্জি কেটে ফেলে। বাচাকে বাঁচাতে তার ভাই মোমেন এলাহী ওরফে কালু আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলে বাচার মৃত্যু হয় চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মো. চপল বলেন, হাটহাজারীর চাঞ্চল্যকর বাচা হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুমনকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর আসামি প্রথমে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে কুমিল্লায় আত্মগোপন করে চট্টগ্রাম ফেরার পথে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

আরএ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm