কী মধু সিএমপির গোপনীয় শাখায়— একই পদে ৪ বছর, অভিযোগ অনেক

চার বছ‌রের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোপনীয় শাখার (সিএ) প্রদান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন মো. শাহ আলম। তার বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। পু‌লিশ প‌রিদর্শকদের কাছ থে‌কে কৌশ‌লে মা‌সোহারা আদায়, থানার ও‌সি ও ও‌সি তদন্তদের কাছ থে‌কে রে‌জিস্টা‌রে স্বাক্ষর নি‌য়ে সোর্স মা‌নি দিতে গ‌ড়িম‌সি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের থেকে মাসোহারা আদায় ও সিএ পদ ব‌্যবহা‌র ক‌রে বদলির হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার পরিদর্শকদের মাঝে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী তিন বছরের বেশি সময় একই স্থানে কর্মরত থাকতে পারে না। পুলিশ বিভাগে এই নিয়ম নিয়ম মানা হয় কড়াকড়িভাবে। তবুও ‘অদৃশ্য জাদুবলে’ চার বছরের বেশি সময় ধরে সিএমপির গোপনীয় শাখার প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।

সিএমপির বদলির আদেশে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি শাহ আলমকে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ের প্রধান সহকারীর পদ থেকে গোপনীয় শাখার প্রধান সহকারী হিসেবে বদলি করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির একাধিক পুলিশ পরিদর্শক ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বলেন, গোপনীয় শাখার প্রধান শাহ আলম ‘সোর্স মানি’ দিতে গড়িমসি করেন। এ নিয়ে অভিযোগ জানালে সিএমপি থেকে বদলির হুমকিও দেন তিনি।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় ও সিএ পদ ব‌্যবহা‌র ক‌রে বদলির হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগও উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এমএ মাসুদ বলেন, ‘কাকে কতদিন কোন পদে রাখবেন এটি কমিশনার স্যার বলতে পারবেন। আপনি কমিশনার স্যারের সঙ্গে আলোচনা করেন।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়কে একাধিকবার কল দিলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।

আরএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!