চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তুলাতলী এলাকায় প্রায় ১০০ একর এলাকাজুড়ে রয়েছে সরকারি খাসজমি। এসব জমি দখলে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট বর্ষা মৌসুমে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। আবার শীতের মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে ওই সিন্ডিকেট এসব জমিতে নামিয়ে দেয় স্কেভেটর। জমির মাটি (টপসয়েল) কেটে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে তারা কোটি কোটি টাকা।
ওই স্থানে জনসমাগম না থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শতশত ট্রাক এসব মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রতি ট্রাকে ১২০০ টাকায় স্থানীয়দের কাছে বিক্রি বিক্রি করছে তারা। কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানার বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি দিয়ে ফসলি জমি ভরাট করছে স্থানীয়রা।
মাটি কাটার সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহর সম্পৃক্ততা আছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চেয়ারম্যান কাইয়ুম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) দক্ষিণ পাশে তুলাতুলি মৌজায় প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে সরকারি খাস জমি। এসব জমিতে রয়েছে প্রায় ১৫টির বেশি মাছের ঘের।
প্রতি বছর এসব ঘেরের বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট।। চলতি শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে স্কেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ট্রাকে রাতে আঁধারে বিক্রি করছে ওক সিন্ডিকেটটি।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যেখানে অবৈধভাবে সরকারি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে উক্ত এলাকাটি হল বারশত ইউনিয়ন এরিয়া। ওই এলাকারটি চেয়ারম্যান কাইয়ুম সাহেব। মূলত তার নেতৃত্বে প্রতিদিন মাটি কাটছে একটি সিন্ডিকেট। কারণ কারো অতো সাহস নেই যে কাইয়ুম সাহেবের এলাকায় খাসজমির মাটি কাটবে। ওনার সঙ্গে বেশ কিছু রাজনীতি লোকজনও রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, ‘যারা চুরি করে তারা নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন জনের নাম বলে থাকে এটা স্বাভাবিক বিষয়। আমি যে দায়িত্ব পালন করছি সেই পদবিতে থেকে কি আমার পক্ষে মাটি কেটে বিক্রি করা যায়?’
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবাইর বলেন, ‘মাটি কাটার বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এএম/এমএফও