চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিতে সাবেক কাউন্সিলরদের আহ্বান

চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলররা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিএনপি দলীয় সাবেক ১৪ জন কাউন্সিলর এ দাবি জানান।

সাবেক কাউন্সিলররা বলেন, ২০১০ সালের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এজন্য ২০১০ সালের নির্বাচনের পর যেসব মেয়র ও কাউন্সিলর দায়িত্ব পেয়েছেন তারা প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নন। এজন্য তারা নাগরিকদের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ৫ আগস্ট দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর নাগরিকরা বিভিন্ন সেবাবঞ্চিত হয়ে ২০১০ ও এর আগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এজন্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন চাইলে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন পর্যন্ত যেসব কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। সাবেক কাউন্সিলররা চট্টগ্রামের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

তারা বলেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক কাউন্সিলর কার্যালয় উপস্থিত না হওয়ায় নাগরিকরা বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। জন্ম-মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদপত্রসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। এজন্য কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনাক্রমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের দায়িত্বাধীন ওয়ার্ডের সংখ্যা কমালে নাগরিকদের সেবা পেতে সুবিধা হবে।

বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলররা আরও বলেন, সাম্প্রতিক ক্রমাগত বৃষ্টিতে নগরের রাস্তা ভেঙে নগরবাসী প্রচন্ড কষ্টে আছেন। সিটি কর্পোরেশনের দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। জলাবদ্ধতাসহ ভাঙা সড়কের জন্য ২৩ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড ও ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের নাগরিকরা সীমাহীন ভোগান্তিতে আছেন। এছাড়াও নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলির সড়ক বাতিগুলো জালানোর বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। তারা নগরবাসীর যাবতীয় ভোগান্তি নিরসনে চসিককে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

জবাবে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে নগরবাসীর সমস্যাগুলো আমরা জেনেছি। এগুলো সমাধানে আমরা যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেবো।

সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বে মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম, এমএ মালেক, দিদারুর রহমান লাভু, মো. তৈয়ব, ইয়াছিন চৌধুরী আশু, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুস সাত্তার সেলিম, জয়নাল আবেদীন, মো. আবুল হাশেম, নাজিম উদ্দিন আহমদ, মাহাবুবুল আলম ও হাসান লিটন।