চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকে রীতিমতো প্রটোকল দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নগর পুলিশের দুই ওসি। টানা তিন মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকায় পুলিশের মধ্যে ব্যাপকভাবে দলীয়করণ হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর অন্তবর্তী সরকারের সময়েও দুই পুলিশ কর্মকর্তার এমন নেতা ও দলপ্রীতি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, ‘পুলিশ লীগের পতন হওয়ার পর এখন কি ‘পুলিশ দল’ এসেছে?’
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা দুইটার দিকে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ গাড়ি থেকে নামার পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী ও চকবাজার থানার ওসি জাহেদুল কবির তাকে প্রটোকল দিতে এগিয়ে আসেন। তারা কর্ডন করে সালাহউদ্দিনকে মঞ্চে তুলে দেন। ওই সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন
সে সময় মঞ্চে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশ শুরু হওয়ার পর মঞ্চের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন কোতোয়ালী ও চকবাজার থানার দুই ওসি। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতেও তাদের ব্যস্ত দেখা গেছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে এবং চকবাজার থানার ওসি জাহেদুল কবিরের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়ায়। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী এলাকাও কক্সবাজার-১ আসন।
সমাবেশ শেষে চকবাজারের ওসি জাহেদুল কবির চলে গেলেও কোতোয়ালীর ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে বহনকারী শোভাযাত্রার ট্রাকে করে লালদিঘি পর্যন্ত যান। শোভাযাত্রাও সেখানেই শেষ হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের প্রটোকল দেওয়া নিয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। কোতোয়ালী ও চকবাজার থানার দুই ওসি নিজেরাই অতি উৎসাহী হয়ে প্রটোকল দিতে গিয়েছিলেন।