চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে মামলা-চাঁদাবাজি, ম্যাক্সিমাচালকদের তোপের মুখে পুলিশ

ঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধে মানুষের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থেকে চকবাজার রুটে মোড়ে মোড়ে মামলা দেওয়া ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা (ম্যাক্সিমা) চালকরা। এক ঘণ্টা তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। একইসঙ্গে পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ার দাবিও তোলেন তারা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী মোড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন ম্যাক্সিমা চালকরা।

এ সময় কোতোয়ালী থেকে লালদীঘি হয়ে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত তীব্র যানজট তৈরি হয়। হঠাৎ এমন অবরোধে বিড়ম্বনায় পড়েন সাধারণ মানুষ, নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় তাদের।

তবে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করেন, অবরোধের সময় ম্যাক্সিমা চালকরা অন্যান্য পরিবহনও চলাচলে বাধা দেন।

কোতোয়ালীর মোড়ে সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে ম্যাক্সিমা গাড়ি। আশপাশে জড়ো হয়েছে ম্যাক্সিমা চালকরা। এ সময় তারা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

কয়েকজন ম্যাক্সিমা চালক জানান, লাইসেন্সসহ গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলেও পুলিশ পার্কিং করার কারণে মামলা দিচ্ছে। দাঁড়িয়ে যাত্রী নামাতে গেলেও পুলিশ এসে মামলা দেয়। মোড়ে দাঁড়ালেই পাঁচ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। অথচ গাড়ি চালিয়ে দৈনিক এক হাজার টাকার ওপরে তুলতে কষ্ট হয়। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদাও দিতে হচ্ছে।

পুলিশের এমন আচরণের কারণে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। অটোরিকশাগুলো পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দেওয়ার দাবিও জানান চালকরা।

চালকরা আরও জানান, আমাদের পুলিশ বক্সে নিয়ে এক থেকে দুই হাজার টাকা চাওয়া হয়। না দিলে মামলা দেওয়া হুমকি দেয়। ঢাকায় যে প্রথমবার ধরলে এক হাজার ও দ্বিতীয়বার ধরলে দুই হাজার টাকা মামলায় জরিমানা দিতে হয়। কিন্তু চট্টগ্রামে সেটা প্রথমবার পাঁচ হাজার এবং দ্বিতীয়বার ধরলে ১০ হাজার হয়ে যায়। চট্টগ্রামে কেন আলাদা আইন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাইরে নাকি। আমাদের ধরলে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়, বলে ‘আলফা-ফাইভ’ দিতে। এই ‘আলফা-ফাইভ’ মানে হচ্ছে পাঁচশ টাকা।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, মামলা দেওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল ম্যাক্সিমা চালকরা। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কথা বলেছে। এরপর তারা অবরোধ তুলে নিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মারিফুল করিম জানান, হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া বা চাঁদাবাজির সুযোগ নেই। ম্যাক্সিমা চালকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবো।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm