চট্টগ্রামের সুপারশপে পলিথিন চলছেই, পাটের ব্যাগও পৌঁছায়নি অনেক বিপণিতে

চট্টগ্রামের সুপারশপগুলোতে মানা হচ্ছে না পলিথিন বর্জনের নিষেধাজ্ঞা। চলতি মাসের শুরু থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রায় সুপারশপের কেনাবেচায় পলিথিনের ব্যবহার চলছেই। এর মধ্যে বেশ কিছু সুপারশপে পাটের ব্যাগ পৌঁছায়নি। আবার পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া ব্যাগ আকারভেদে ১২ থেকে ২০ টাকা খরচায় কিনতে ক্রেতাদের।

সুপারশপ কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানেন না। আবার অনেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ পাননি।

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সুপারশপগুলোতে গত ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরিবর্তে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়।

তবে কয়েকটি সুপারশপ ছাড়া চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সুপারশপে পাটের ব্যাগ পৌঁছায়নি। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাটের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগ দেওয়া হলেও সেগুলো ১২ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম দিয়ে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামের স্বপ্ন, খুলশী মার্ট, বাস্কেটসহ বেশ কিছু সুপারশপে কেনাবেচায় পলিথিনের সঙ্গে কাগজের ব্যাগও ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকার সুপারশপগুলোতে সরেজমিন দেখা গেছে, পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

আল মদিনা সুপারশপের ম্যানেজার বাবলু বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু ক্রেতারা পাটের ব্যাগ কিনতে আগ্রহী না। পলিথিনে পণ্য না দিলে বাজার না করে চলে যাচ্ছেন। এতে আমরা কাস্টমার হারাচ্ছি।

ফ্রান্স সুপারশপের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুধু জানানো হয়েছে। এরপর এতোদিনেও কোনো কার্যক্রম দেখতে পাইনি। আমাদের জানানো হয়নি কোন ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করবো বা কোথা থেকে ব্যাগ সংগ্রহ করবো। উচ্চমহল যদি পরিপূর্ণভাবে আমলে না নেয়, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব না।’

সুপারশপের ক্রেতা জামিল আহমেদ বলেন, ‘আমাকে বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। কারণ আমি চাকরিজীবী আর রোজ ব্যাগ কিনে বাজার করা সম্ভব না। যদি সরকার পলিথিন সরবরাহ করা পুরোপুরি বন্ধ করার পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেবল নিষেধাজ্ঞার নোটিশে কোনো কাজ হবে না। সাধারণ মানুষদের হাতে ধরিয়ে দিতে হবে কোনটা ব্যবহার হবে, কোনটা হবে না—তবেই সুফল দেখতে পাবো।’

বিভিন্ন মুদি দোকানদারদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সরকার নিষিদ্ধ করেছে শুনলাম, কিন্তু মানতে কাউকে দেখছি না। সবাই আগের মত পলিথিনে বেচাকেনা করছে। অভিযান করতেও কেউ আসেনি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm