চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সভায় ফের মারামারি, মাথা ফাটল কাউন্সিলরের

‘লালদীঘি মাঠে চলেন, আমরা মারামারির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি’

সরকার দলীয় ১৪ দলের গণসমাবেশে এমইএস কলেজের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কলেজটির ভিপি ও ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩১ মে) নগরীর লালদীঘি এলাকার জেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ওয়াসিম ও জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চুর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। এতে সাময়িকভাবে গণসমাবেশ বন্ধ হলেও পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ হয় ১৪ দলের এই অনুষ্ঠান।

s alam president – mobile

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর সমাবেশস্থলে যোগ দেন এমইএস কলেজের বাচ্চু ও ওয়াসিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এই সময় উভয় পক্ষের কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। এরপর একপক্ষ অন্যপক্ষকে প্রথমে চেয়ার ও পরে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এরমধ্যে পুলিশ এলে ১৪ দলের নেতাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এই বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘যারা মারামারি করেছে, বিশৃঙ্খলা করেছে, ওরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হতে পারে না। অনেকেই বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন, যারা আসেন তারা ষড়যন্ত্র করতেই আসেন।’

এর আগে সোমবার (২৯ মে) লালদীঘির মাঠে শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রতিবাদে নগর আওয়ামী লীগের সমাবেশেও একই কায়দায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের সমর্থকরা।

Yakub Group

এদিকে বুধবার মারামারি পর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা মারামারি করতে চাইলে লালদীঘির মাঠে চলেন, আমরা মারামারির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

মারামারির বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘দু’পক্ষের মধ্যে চেয়ার ও ইট ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। এতে কাউন্সিলর ওয়াসিম আহত হন। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’

এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ বা মামলা এখনো পর্যন্ত জমা হয়নি বলে জানান ওসি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!