চোখ রাঙানির পরের দিনই চট্টগ্রামের করোনার আবারও তেজ কমলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৩৬ এবং উপজেলা পর্যায়ে ২১ জন। একই সময়ে করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৯ জন। এর মধ্যে নগরের ৭৩ হাজার ২১৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৭ হাজার ৮০১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১২৭৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭০৪ এবং উপজেলায় ৫৭৩ জন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১২টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ১ হাজার ৫০৩ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জনের।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিআইটিআইডিতে ৬৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজারে মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রামের ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। এন্টিজেন টেস্টে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া, আরটিএলে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।ইপিক হেলথ কেয়ারে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ল্যাব এইডে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা শনাক্ত হয় নি।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে দক্ষিণের উপজেলাগুলোর মধ্যে একমাত্র চন্দনাইশে ৯ জনের শনাক্ত হয়। লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। উত্তরের উপজেলার মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন, রাউজান ১ জন, ফটিকছড়ি ৩ জন, হাটহাজারী ১ জন, সীতাকুণ্ড ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়। মিরসরাই এবং সন্দ্বীপে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
এমএহক