চট্টগ্রামে ডাক্তারের ফি নিয়ে অরাজকতা, ১ হাজার টাকায় মেলে ২ মিনিটের চিকিৎসা

রিপোর্ট দেখতেও অনেকে নেন আলাদা ফি, নিতে হয় সিরিয়ালও

0

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শিউলী মজুমদার বসেন নগরীর মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিনতলায়। সপ্তাহে মঙ্গলবার ছাড়া তিনি বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এখানেই তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন। ভিজিট ১ হাজার ২০০ টাকা। আগে ১ হাজার টাকা থাকলেও করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে নিচ্ছেন ১ হাজার ২০০ টাকা করে। তার কাছে দ্বিতীয় সাক্ষাতে গেলে দিতে হয় আরও ১ হাজার টাকা। কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, এই ১ হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে তিনি রোগীকে দেখেন বড়জোর এক থেকে দেড় মিনিট। প্রেসার চেক করেন। তারপর দুই একটা কথা শুনেই রোগীর হাতে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন। রোগের আগের ইতিহাস না শুনেই চলে যেতে বলেন রোগীকে।

চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. সাহানারা চৌধুরী। রোগী দেখেন বেলভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তার ফি ২ হাজার ২০০ টাকা। দ্বিতীয়বার দেখাতে আসলে ১ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী দেখেন। রোগীর ভীড়ে এক রোগী বের না হতেই তার সহকারী অন্য রোগী রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলেন। ডা. সাহানারা মিনিটদুয়েক রোগীর কেসস্টাডি শোনেন। এরপর নামমাত্র চেকআপ করে প্রেসক্রিপশন লিখে ভিজিট দিতে বলেন রোগীকে। সবমিলিয়ে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মিনিট।

শিউলী মজুমদারের চেম্বার থেকে বের হওয়া রোগী রফিকুল আলমের আক্ষেপ শোনা গেল মৃদু আক্ষেপ। সেই আক্ষেপ নিয়েই তিনি বললেন, ‘কত কষ্ট করে সিরিয়াল নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এলাম। ডাক্তার আর একটু সময় নিয়ে দেখতে পারতেন।’ কথাগুলো বলতে বলতেই অসুস্থ শরীরটা নিয়ে বিষণ্ন চেহারায় ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে গেলেন রফিকুল আলম।

শুধু ডা. শিউলি মজুমদার কিংবা ডা. সাহানারা চৌধুরীই নন— চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে যেসব অধ্যাপক, সহকার অধ্যাপক পদবির ডাক্তাররা রোগী দেখেন তাদের রোগী দেখার ফি শুরু হয় হাজার থেকে। ডাক্তারভেদে এই অংক দেড় হাজার থেকে দুই হাজারও হয়ে থাকে। তবে চট্টগ্রামের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ব্যক্তিগত চেম্বারে ভিজিট নেন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। জানা গেছে, করোনাকালে এই ডাক্তাররা হঠাৎ করে ফি বাড়িয়ে দেওয়ার পর আর কমাননি।

অথচ সম্প্রতি স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও গণমাধ্যমে অভিমত দিয়ে বলেছেন, ‘একজন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক এবং মেডিকেল অফিসার যথাক্রমে ৮০০, ৭০০, ৫০০ ও ৩০০ টাকা ফি নেবেন। সেটা ডাক্তাররা কখনই মানেননি। এখন যেটা হচ্ছে, ডিমান্ড অনুযায়ী একজন ডাক্তার তার ফি নির্ধারণ করছেন।’

টানা কয়েকদিন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে বিশেষজ্ঞ কয়েকজন ডাক্তারের চেম্বারের সামনে অবস্থান করে জানা গেল আরও কিছু চমকজাগানো তথ্য।

চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে সপ্তাহে শনি থেকে বুধবার রোগী দেখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাসানুজ্জামান। তার ফি ১ হাজার ২০০ টাকা। অথচ রোগীকে দেখেন বড় জোর দুই থেকে আড়াই মিনিট। তারপরই প্রেসক্রিপশন গছিয়ে দেন রোগীকে।

উল্টো উদাহরণও আছে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন দরিদ্র রোগীদের কাছ থেকে টাকাই নেন না। বরং নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিজের টাকায় করে দেন।

সিএসসিআর হাসপাতালে রোগী দেখেন নিউরোসার্জন ডা. কামাল উদ্দিন। তার ফি ১ হাজার ৩০০ টাকা। রোগীর জন্য সময় ব্যয় করেন সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মিনিট। একই হাসপাতালে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ। তার ফি ১ হাজার ২০০ টাকা। এখানে সার্জারির ডাক্তার সাকেরা আহমেদও রোগী দেখেন ১ হাজার ২০০ টাকা ফি নিয়ে।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ এটাই— রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশের ডাক্তাররা যে সময় দেন, তাতে কতটুকু রোগ নির্ণয় সম্ভব? তাদের অভিমত, ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার ক্ষেত্রে (প্রাইভেট প্র্যাকটিস) কোনো নিয়মনীতি মানেন না চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এফসিপিএস পাস করা অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক পদবির চিকিৎসকরা রোগী দেখার ফি ও সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজেদের খেয়ালখুশি মতো। ফলে রোগীরা তাদের কাছে অনেকটাই অসহায়।

সাধারণ রোগীদের অভিযোগ— মেডিসিন, গাইনি, অর্থোপেডিকস, সার্জারি, নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, শিশু— সব রোগীর ক্ষেত্রেই ফি ও রোগী দেখার সময় নিয়ে জোরজবরদস্তিমূলক আচরণ করা হচ্ছে রোগীদের ওপর।

ওয়েবসাইট ঘেঁটে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, সময় নিয়ে রোগী দেখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও পাকিস্তান এগিয়ে। সেই জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে রোগীপ্রতি গড়ে সেকেন্ডে মোটে ৪৮ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়। এর বিপরীতে ভারতের ডাক্তাররা পর্যাপ্ত সময় দেন রোগীকে। সুইডেনের মতো দেশে ২০ থেকে ২২ মিনিট সময় দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিনয় কুমার পাল। গ্যাস্ট্রোলজিতে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক ম্যাক্স হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সপ্তাহে পাঁচদিন ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখে থাকেন। তার ফি ১ হাজার টাকা। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিনয় পাল নতুন রোগীর ক্ষেত্রে সবমিলিয়ে দুই মিনিটেরও কম সময় দেন। মূলত দুই চেম্বারে সমন্বয় করতে তাকে দ্রুতগতিতে রোগী দেখতে হয় বলে জানিয়েছেন ম্যাক্স হাসপাতালের বিশ্বস্ত একটি সূত্র।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আফতাবুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যদি কোনো চিকিৎসক এক থেকে দেড় মিনিটে রোগী দেখার প্রাকটিস চালু রাখেন, ক্রমেই সেই ডাক্তার অজনপ্রিয় হয়ে পড়বেন। রোগীর কেসহিস্ট্রি না শুনে যেন ডাক্তার রোগীকে ব্যবস্থাপত্র না দেন— সেই অনুরোধ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের সংখ্যা এবং চিকিৎসার মান বাড়াতে পরিকল্পনা দরকার। দরকার নৈতিক শিক্ষাও। আর নিজেদের দায়িত্বজ্ঞান ও পেশার প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে ডাক্তারদেরও ভাবা দরকার। চিকিৎসাপেশা কোনো আলু-পটলের ব্যবসা নয়। এটিকে বলা হয় মানবিক সেবা। অসুস্থ মানুষের কাছে ডাক্তার হলেন দেবদূত। তার কাছে আসে সবাই বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে। কিন্তু সেই আস্থার ঘরে সিঁদ কাটা মানবিক মানুষের কাজ না।’

এদিকে কয়েকদিন নগরীর প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে রোগীদের একটা অভিযোগই ঘুরে ফিরে শোনা গেছে, শহরের বাইরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের সাথে ডাক্তাররা ঠিকমতো কথাও বলেন না। কথা শোনেন না। গায়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে রোগের ধরন পর্যবেক্ষণ করেন না। তবে রোগী যেভাবেই দেখা হোক না কেন, ফি নেওয়া হয় ইচ্ছেমতো। রিপোর্ট দেখাতে গেলেও মূল ফি’র অর্ধেক টাকা আবার দিতে হয়।

রোগীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ মিলেছে, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের ডাক্তাররা নিজেরা এখন আর রোগী দেখেন না। রোগীর সঙ্গে কথাও বলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা রোগীর কাছে থেকে সব শুনে কাগজে নোট নিয়ে রাখেন। পরে ওই নোট অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন লেখা হয়।

রোগী দেখার ফি ও সময় নিয়ে এমন নৈরাজ্য চললেও সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকের ফি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করার কোনো উদ্যোগ নেই। ২০১৭ সালে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা আইনের খসড়ায় শুধু ডাক্তারদের ফি নির্ধারণে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে উল্লেখ করা হলেও ওই ফি কত হবে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

প্রস্তাবিত ওই খসড়া আইনের ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘(১) সরকার সময় সময় গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আদায়যোগ্য চার্জ বা ফিস এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার চার্জ বা ফিস নির্ধারণ করিবে; (২) চিকিৎসকের ফিস বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আদায়যোগ্য চার্জ বা মূল্য বা ফিসের তালিকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা চেম্বারের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করিতে হইবে; (৩) চিকিৎসাসেবা বাবদ আদায়কৃত চার্জ বা মূল্য বা ফিসের রসিদ সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা বা তাহার অভিভাবক বা তাহার প্রতিনিধিকে প্রদানপূর্বক উক্ত রসিদের অনুলিপি সংরক্ষণ করিতে হইবে।’

সদ্যসমাপ্ত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিয়ে কত টাকা ফি নেবেন, সেটা নির্ধারণ করে দেবে সরকার। ওই সভায় এ নিয়ে একটি কমিটি করা হলেও বিষয়টির আর কোনো অগ্রগতি জানা যায়নি। তবে ফি নির্ধারণের বিষয়ে ওই সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চিকিৎসক নেতারা বলেন, ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। যার ফলে সরকার বিপদে পড়েছিল। এখন আমলারা সরকারকে বিপদে ফেলতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘সরকারের উচিত সব পেশার জন্যই ফি নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া। শুধু ডাক্তারের ফি নয়— সব পেশার, সব সেবার মানুষেরই ফি সরকারের নির্ধারণ করা উচিত।’

এতোগুলো টাকা ফি হিসেবে নিয়ে ডাক্তারদের এক থেকে দেড় মিনিট রোগী দেখার প্রবণতা নিয়ে ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই একজন ডাক্তার কত মিনিট রোগী দেখবেন তা নিয়ে কোনো মেথড নেই। রোগীর রোগ নির্ণয় নির্ভর করে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতার ওপর। সুপ্রিম কোর্টে একজন ব্যারিস্টার এজলাসে দাঁড়িয়ে মহামান্য আদালতকে এক মিনিটে আর্জি জানিয়ে লাখ টাকা ফিস নেন। তবে সব পেশাতেই সবাইকে পেশার মধ্যে মনুষ্যত্ব জাগিয়ে রেখে নিজের কাজটি সঠিকভাবে করা উচিত।’

এদিকে রিপোর্ট দেখাতেও কোনো কোনো ডাক্তার নিচ্ছেন আলাদা ফি। এপিক হেলথ কেয়ারে রোগীর রিপোর্ট দেখাতে সিরিয়াল দিতে হয় নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মাহবাতুল ইসলামকে। প্রথম দিন ডাক্তারকে দেখানোর পর পরের দিন তার নির্দেশনায় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে রোগীকে আবার সিরিয়ালে নাম এন্ট্রি করতে হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডা. সত্যজিত মল্লিককেও রিপোর্ট দেখাতে গেলে আবার নতুন করে সিরিয়াল নিতে হয়।

অন্যদিকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ শহীদুল হক শহীদ রিপোর্ট দেখতেও আলাদা ফি নেন। চট্টগ্রামের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এপিক হেলথ কেয়ারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রদীপ রায় জানান, ‘স্যার প্রথমে ৪০০ টাকা ফিস নেন। পরবর্তীতে রিপোর্ট দেখাতে এলে পুনরায় ৪০০ টাকা ফিস নেন।’

এ বিষয়ে জানতে উপরের তিন ডাক্তারকে মুঠোফোনে ফোন দিলে পাওয়া গেছে কেবল ডা. সৈয়দ মাহবাতুল ইসলামকে। তিনি বলেন, ‘রোগীর রিপোর্ট দেখতেও ডাক্তারে শ্রম ও সময় ব্যয় হয়। সেটা তো আর বিনা পয়সায় হতে পারে না।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm