চট্টগ্রামে বোধনের ‘রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী’ উদযাপিত
বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী-১৪৩২’ উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য ‘নটরাজ’ থেকে মোহিনী সংগীতা সিংহ গ্রন্থিত এবং মাইনুল আজম চৌধুরী নির্দেশিত ‘মুক্তিতত্ত্ব’বৃন্দ আবৃত্তির মাধ্যমে। এরপর নটরাজ থেকে একক-দ্বৈত আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য পরিবেশন করে আমন্ত্রিত শিল্পী ও বোধনের সদস্যরা।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেষে বোধনের শিশু বিভাগের সদস্যরা অচলায়তন ও ফাল্গুনী থেকে সংকলিতবৃন্দ আবৃত্তি ‘আমরা নতুন প্রাণের চর’ পরিবেশন করে। যা গ্রন্থনা করেন মোহিনী সংগীতা সিংহ এবং নির্দেশনা দেন সন্দীপন সেন একা।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে আলোচনা করেন একুশে পদকে ভূষিত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। রবীন্দ্রনাথের নাটক গান কবিতা বাঙালির মনন চিন্তার এক পরিপূরক। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গান কবিতা এবং নাটক রচনা বাঙালির জীবনকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
নটরাজ পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী পূরবী বড়ুয়া। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্বতান। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নরেন সাহা।
নৃত্যধ্বনি পরিবেশন করে দলীয় নৃত্য, যা পরিচালনা করেন নৃত্যশিল্পী অমিত দাশ।
আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল নন্দী, জাভেদ হোসেন, মাইনুল আজম চৌধুরী, রীমা দাশ, সুতপা মজুমদার, ইতু সাহা, পৃথুলা চৌধুরী, জয়শ্রী মজুমদার জয়া, হোসনে আরা নাজু, অর্চি দত্ত, ঋতুপর্ণা চৌধুরী, যশস্বী বনিক, অর্পিতা চৌধুরী, সোমা রানী বণিক, রুমকী চৌধুরী, সাবিত্রী তালুকদার, অর্ণি বণিক, মোহাম্মদ তাহসিন, ঋতু দে, সুজাতা বড়ুয়া, অপু মজুমদার, অনির্বাণ বনিক সৃজন, তন্বী ধর, উম্মে কুলসুম তারিন।
আবহ সংগীতে ছিলেন শিল্পী দেবলীনা চৌধুরী। কি-বোর্ডে ছিলেন শিল্পী সৃজন রায়, তবলায় ঝিল মজুমদার ও আরজু সেন শ্লোক। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় ছিলেন কবি ও আবৃত্তিশিল্পী মোহিনী সংগীতা সিংহ এবং সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী।