বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জায়মা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সদ্য পদ হারানো তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা অপর আসামি হলেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ।
আদালত মামলাটির গ্রহযোগ্যতা শুনানি করার আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। এর আগে একই অভিযোগে ঢাকা ও রাজশাহীতে ভিন্ন দুটি মামলার আবেদন করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছে।
মামলার বাদী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে গ্রহণ করে যেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যেহেতু মামলার একজন বিবাদী সংসদ সদস্য এবং তিনি এই এলাকার বাসিন্দাও না সেহেতু এই মামলার বিষয়ে আদালত একটি গ্রহণযোগ্যতার শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
আদালত এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছ থেকে মতামত চেয়েছেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তুমুল আলোচনায় থাকা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে এক ফেসবুক লাইভে (সরাসরিতে) যুক্ত হন মুরাদ হাসান। ‘নাহিদ রেইনস’ নামের এক ফেসবুকারের সঙ্গে লাইভের এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম ও পরিবার নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রীসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৯ সালের ১৯ মে থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এআরটি/কেএস