চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে নগরীর টাইগারপাস আমবাগান এলাকায় ২১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মূলত বর্ষাকাল এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা বাণীও দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। সর্তকবার্তা আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন।
রোববার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নগরীর আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর, ঝিল-১,২,৩; শান্তিনগর, বেলতলীঘোনা থেকে ৫০০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা পাহাডের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরত ৩০০ জনকে সরানো হয়েছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে বর্ষা এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে নদী বন্দরগুলোকে নৌ-চলাচলে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় প্রচণ্ড ভারী বর্ষণ হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এই এলাকায় ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। নগরীর টাইগারপাস আমবাগান এলাকায় ২১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের সতর্কতা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ পরিবার নিরাপদে রয়েছে। তাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রয়েছে।’
এদিকে প্রবল বর্ষণে নগরীর বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, কাতালগঞ্জ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসেরপাড়া, ফরিদারপাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, তিন পুলের মাথা, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুর এবং হালিশহরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে জমে রয়েছে পানি।
আরএস/ডিজে