চট্টগ্রাম রেলওয়ে কোয়ার্টারে বেহাল দশা, বৃষ্টির পানি ঢুকছে চালের ফুটো দিয়ে

বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ঘুম হারাম হচ্ছে রেলওয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী পরিবারের। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এসব বাসা ছাঁদ চুইয়ে, ছিদ্র যুক্ত টিনের ফাঁক দিয়ে ঢুকছে বৃষ্টির পানি।

অধিকাংশ বাসার নির্মাণ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ঝুঁকি নিয়ে এসব বাসায় থাকতে হচ্ছে। অপ্রতুল বরাদ্দ দেওয়ায় এসব বাসা ঠিকমত মেরামত করতে পারছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসব বাসায় পরিবার নিয়ে ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে কর্মচারীদের।

শনিবার (৫ আগস্ট) সরেজমিন মাস্টার লেইন, পাঞ্জাবী লেইন, সেগুনবাগান, আমবাগান, সিআরবি রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ২০০ কোয়ার্টারের এ হাল।

অভিযোগ রয়েছে, শুষ্ক মৌসুমে এসব রেলওয়ের এসব বাসায় সংস্কার কাজ না করায় ঘরগুলো নাজুক হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রাম বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে প্রচন্ড বৃষ্টিতে রেলওয়ে কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া বাসার ছাদ চুইয়ে প্রবেশ করে বৃষ্টির পানি।

পাহাড়তলী এডিএন-২-সি বাসার গৃহিনী ফাতেমা আক্তার জানান, টিনের ছিদ্র দিয়ে তিনটি রুমে বৃষ্টির পানি ঢুকায় পরিবার নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। সেগুন বাগানে পলিথিন বিছিয়ে আবার কেউ বালতি, মগ বসিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা করেছে।

Yakub Group

পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম (সিসিএস) দপ্তরেরও বেহাল দশা। এ দপ্তরের উপর অস্থায়ী তাবুর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা।

রেলওয়ে (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘রেলওয়ের বাসা মেরামত করতে বাজেট দেওয়া হচ্ছে কম, যা প্রয়োজনের তুলনায় এতই অপ্রতুল যে ইচ্ছে থাকলেও সকল বাসা মেরামত করা যাচ্ছে না। তবুও স্বল্প সংখ্যাক বাসা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!