চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বরকলে পুরাতন বেইলি ব্রিজ ভেঙে বালুবাহী পিকআপ (ডাম্পার) খালে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পিকআপ চালক।
আহত পিকআপ চালক হলেন মো. সাকিব। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চন্দনাইশের বরকল এলাকায় আনোয়ারা-চন্দনাইশ উপজেলা সংযোগ সড়কের পুরাতন ‘বরকল সেতু’ ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলার সংযোগ সেতু চাঁনখালি খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ১৯৯০ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মাণ করে। এর মধ্যে সেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে গত বছর আরও একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় বেইলি ব্রিজের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ অন্য একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করে। ২০২২ সালে গার্ডার ব্রিজটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে পুরাতন বেইলি ব্রিজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। ব্রিজটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণের কথা থাকলেও তারা তা করেনি।
ব্রিজটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এলাকার চোরের দল রাতের অন্ধকারে ব্রিজের নাট-বল্টু খুলে নিয়ে যায়। যে কারণে ব্রিজটি অতিরিক্ত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। পরিত্যক্ত হওয়ার পর বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি তেমন চলাচল করে না। ঘটনার দিন আনোয়ারার দিক থেকে বালুবাহী পিকআপ ব্রিজের মাঝখানে এলে ব্রিজটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে চালক সাকিব আহত হন। পরে স্থানীয়রা সাকিবকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে চিকিৎসার দিতে নিয়ে যায়।
এদিকে নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ হওয়ায় লোহার এই পরিত্যক্ত ব্রিজ খুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এখনও খুলে নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আগেও সেতুটিতে ঝুঁকি নিয়ে অনেক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতো।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজবাহ-উল-আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অতি দ্রুত সময়ে নদী থেকে ব্রিজ উদ্বারে কাজ শুরু হবে।
ডিজে




