চট্টগ্রামের জানালীহাট রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশে লোক দেখানো অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। স্টেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা, দোকান, বস্তি গড়ে উঠলেও কয়েকটি ঝুপড়ি উচ্ছেদ করে অভিযান শেষ করা হয়েছে।
রেলওয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিমাসে লাখ টাকার মাসোহারা যায় ভূ- সম্পত্তি বিভাগের কিছু
অসাধু কর্মকর্তার পকেটে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) চট্টগ্রাম জানালী হাট স্টেশন এলাকায় সকালে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। মূলত প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কালুরঘাট রেল সেতু পর্যন্ত পর্যন্ত রেললাইনের দুইপাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা থাকলেও অভিযানটি ছিল যেন দায়সাড়া। মাত্র ৭-৮ জন আরএনবি সদস্য নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভূমি শাখা থেকে রেলের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উচ্ছেদের জন্য ১০ দিনের একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় রেললাইনের দু’পাশে প্রায় তিন শতাধিক দোকান নিয়ে গড়ে উঠেছে কাচাঁবাজার। নির্বিঘ্নে রেল চলাচলে রেললাইনের দুই পাশে লোহার বেড়া দেওয়ার কথা থাকলেও ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর (কার্য) যোগসাজশে অনেক জায়গায় দেওয়া হয়নি। আবার অনেক স্থানে বেড়া দিলেও মাঝখানে চলাচল পথ রাখা হয়েছে। এতে বেড়েছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি।
এছাড়া স্টেশন এলাকা থেকে কালুরঘাট রেল সেতু পর্যন্ত গড়ে উঠেছে প্রায় ১ হাজার বস্তি ঘর। স্টেশন এলাকায় কাজী বাড়ির সড়কের দুপাশে গড়ে উঠেছে কয়েকশত দোকান৷ স্টেশন এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদকাসক্ত ও ছিনতাইয়ের আস্তানা। সন্ধ্যার পর স্টেশন এলাকায় যাত্রী ও সাধারণ লোকজন চলাচল করতে নিরাপদ বোধ করেন না।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমি অভিযানে ছিলাম না। এ বিষয়ে জানি না। যিনি উপস্থিত ছিলেন তার কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আমরা তৎপর। আজকের অভিযান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। কোনো অনিয়ম থাকলে আমি খোঁজ নেব।
সিএম/ডিজে