দেশজুড়ে কৃষকদের হাতে সার পৌঁছে দিচ্ছে নোয়াপাড়া গ্রুপ

নোয়াপাড়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা দেশজুড়ে কৃষকদের মাঝে ডিলারের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে নন ইউরিয়া সার। যশোরের শিল্প বাণিজ্য বন্দরনগরী থেকে এসব সার দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাষীদের হাতে পৌঁছাচ্ছে। বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে চলছে এ আয়োজন।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের মাধ্যমে ডিলারদের মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে বিসিআইসি ডিলাররা বরাদ্দপত্র দিয়ে সার উত্তোলন করে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নোয়াপাড়া গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো বিসিআইসি ডিলারদের কাগজপত্র যাচাই করে সার সরবরাহ করছে।

সাতক্ষীরার বিসিআইসি ডিলার মেসার্স বি কে ট্রেডার্সের মালিক বিশ্বজিত ঘোষ জানান, টাকা জমার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার উত্তোলন করি।

ডিলারের প্রতিনিধি মেসার্স মান্নান অ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রোপাইটার আবদুল মান্নান জানান, টাকা জমার দেওয়ার এক-দু’দিনের মধ্যে সার সরবরাহের ডিও পেয়ে থাকি।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ডিলারদের কাছ থেকে বরাদ্দপত্র ও ব্যাংকে টাকা জমা যাচাই করে দ্রুত সময় সার সরবরাহ করে আসছি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ৮৩ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ ছিল। ডিলাররা উত্তোলন করেছে ৮৩ হজার ৭২৫ মেট্রিক টন। ডিসেম্বরে ৭২হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ ছিল, ডিলাররা উত্তোলন করেছে ৭১ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন। ডিসেম্বর মাসের সার সরবরাহ এখনও চলমান রয়েছে। জানুয়ারি ২০২৫ মাসের ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৫মেট্রিক টন সার বরাদ্দ হয়েছে, যা সরবরাহ চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকারি সার নীতিমালা উপেক্ষা করে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় থানায় তিন বিসিআইসি ডিলার সার উত্তোলন করে পাচার করছিল। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষি বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে নোয়াপাড়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদুর রহমান লিটুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দেশে সারের সংকট না হয় তার জন্য আমরা সার নীতিমালা অনুসরণ করে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছি। ডলার সংকট এলসি জটিলতাসহ সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সার আমদানি করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে ভৃমিকা রাখছি আমরা।

বিএডিসির খুলনা জোনের সহকারী পরিচালক শরীফ সাইফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমদানি ও পরিবহনে নোয়াপাড়া ট্রেডার্স উল্লেখ যোগ্য ভৃমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ফাটিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ জালাল হোসেন জানান, ডিলাররা তাদের সার নিজ নিজ স্থানে কৃষকদের পৌঁছে দেয় এবং এক স্থানের সার অন্য স্থানে না নেয়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। সার নীতিমালা কেউ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের সহায়তা থাকবে। আমি একজন ডিলার হিসেবে টাকা জমা দিয়ে দু’দিনের মধ্যে ডিও পেয়েছি। তবে কোন ডিলার যদি সময় মত সার উত্তোলন না করে, তাহলে আমদানিকারক সেই সার অন্য ডিলারকে বরাদ্দ দিতে পারবে।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন, ডিলার নিজে অথবা তার বৈধ প্রতিনিধি ছাড়া কেউ সার উত্তোলন করতে পারবে না। এক এলাকার সার যেন অন্য এলাকায় কেউ বিক্রি করতে না পারে, এজন্য আমরা সজাগ রয়েছি।

অভয়নগর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু জানান, আমি প্রায় নোয়াপাড়া গ্রুপে সার সরবরাহ সঠিক ও সময়মত হচ্ছে কি-না, তা খোঁজখবর নিয়ে থাকি। আমি খোঁজ নিয়ে এবং নিজে উপস্থিত থেকে দেখেছি, ডিলাররা নির্বিঘ্নে সার সরবরাহ পাচ্ছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm