s alam cement
আক্রান্ত
৭৬৩২৬
সুস্থ
৫৪১৬১
মৃত্যু
৮৯৭

ধসে পড়ার অপেক্ষায় কর্ণফুলীর শীতল ঝর্না কালভার্ট, গর্তে প্লেটসিটের ফাঁদ

0

১৯৮৪ সালে নির্মিত হয় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ শাহমীরপুর এলাকায় দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতের জন্য শীতল ঝর্না ব্রিজ (কালভার্ট)। গত তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলেও নতুন কালভার্ট আর হয়ে ওঠে না। মাত্র সাত মিটারের জরাজীর্ণ কালভার্টের মাঝখানে তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। এটি দেখা না যাওয়ার জন্যই সেখানে বসানো হয়েছে আবার বিশাল প্লেট। সেই প্লেট ওপরে ফিটফাট দেখালেও নিচের চিত্র ভয়ংকর। যেকোনো সময় এই কালভার্ট ভেঙে পড়ে ভয়াবহ ট্রাজেডি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে কালভার্টিটি পরিদর্শনে আসেন কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী। তিনি দিলেন নতুন করে নির্মাণের আশ্বাস। এ সময় তিনি বলেন, ‘শীতল ঝর্না খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ‘কালভার্ট’ দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ করা হয়েছে। নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’ কালভার্টের উপর দিয়ে যেন ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেজন্যও নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টর, যুবলীগ নেতা সালাহ্ উদ্দিন সারো উপস্থিত ছিলেন।

ধসে পড়ার অপেক্ষায় কর্ণফুলীর শীতল ঝর্না কালভার্ট, গর্তে প্লেটসিটের ফাঁদ 1

আনোয়ারা ও কর্ণফুলী দুই উপজেলার সংযোগস্থলে বড়উঠান ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহমীরপুর এলাকার শীতল ঝর্ণা খালের ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি যেন দুই উপজেলার মরণফাঁদে হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক আগেই ভেঙে গেছে কালভার্টের দুই দিকের রেলিং। পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে মাঝখানের স্ল্যাব। সবমিলিয়ে যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়ে ভয়াবহ ট্রাজেডি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর সাথে সংযুক্ত শীতল ঝর্ণা খালে ১৯৮৪ সালে নির্মিত ছোট্ট কালভার্টটির দুই দিকের রেলিং বছরখানেক আগেই ভেঙে পড়ে গেছে। মাঝখানের ‘টপস্ল্যাব’ পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে। বর্তমানে মাঝখানে তৈরি হওয়া বড় গর্তে ‘প্লেটসিট’ বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এই কালভার্টটি দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তিন বছর ধরে কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ কেউ নজরেই আনছেন না।

ধসে পড়ার অপেক্ষায় কর্ণফুলীর শীতল ঝর্না কালভার্ট, গর্তে প্লেটসিটের ফাঁদ 2

Din Mohammed Convention Hall

স্থানীয় বাসিন্দা সালাহ্উদ্দীন সারো বলেন, ‘যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। বিষয়টি মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে জানানো হয়েছে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ সড়কে দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। রাতে দিনে ভারী যানবাহন চলাচল করে এ কালভার্টের ওপর। ওপরের অংশগুলো চোখে দেখা গেলেও নিচেরগুলো আরও ভয়ংকর। প্লাস্টার ঝরে পড়ে ভেতরের লোহা দেখা যাচ্ছে।’

সিপি

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm