পটিয়ায় এসিল্যান্ড’র অন্যরকম উদ্যোগ

0

ভূমি অফিসের বাইরে চলছে গণশুনানি। সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন। সেবা নিতে আসাদের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা শুনে দিচ্ছেন তাৎক্ষণিক সমাধান। এমন উদ্যোগে খুশি সেবাগ্রহীতারা। দ্রুত সেবা পেয়ে করেছেন প্রশংসাও।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই পটিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে এ সেবা চালু করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন। ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৫০ জন সেবাগ্রহীতাকে তৎক্ষণিক ভূমিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দেন এসিল্যান্ড রাজিব হোসেন।

এ সময় উপজেলা কানুনগো ও সার্ভেয়ার অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক সহ সেবা গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।

সেবাগ্রহীতা আশিয়া ইউনিয়নের ইদ্রিচ মিয়া জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কিছু জায়গা বন্দোবস্তি করেছিলাম। আজ এসিল্যান্ড স্যার নামজারি খতিয়ান করে দিয়েছেন। সত্যি খুব ভালো লাগছে।

কেলিশহর ইউনিয়নের আরেক সেবাগ্রহীতা মফিজুর রহমান বলেন, আমার রেজিস্ট্রি করা জমির আজ নামজারি খতিয়ান খুলে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর পর।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন জানান, ভূমি অফিসে দালাল ও হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের জন্য এখন থেকে নিয়মিত গণশুনানি করা হবে। সেবা প্রার্থীরা সরাসরি যেন আমার কাছে এসে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান স্বল্পসময়ের মধ্যে দেওয়া যায় সেজন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনেক দূর থেকে আমার কাছে জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশায় মানুষ আসেন। কোনোভাবে যেন তারা হয়রানির শিকার না হন সে প্রেক্ষিতেই আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।

এসময় তিনজন সেবা প্রত্যাশীর নথি অনুমোদন করে খতিয়ান হাতে হাতে তুলে দিই। এছাড়া একই সাথে আরো ৩৫টি নতুন খতিয়ান অনুমোদন করে তা দ্রুত সেবা প্রত্যাশীর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছি।

১১টি নামজারি নথি অনুমোদন করেছি। এছাড়া ১৩ জন সেবা প্রত্যাশী জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসলে তাদের আবেদন গ্রহণ করে সঠিক পরামর্শ দিয়ে তা দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেছি। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর সুবিধাজনক সময়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm