চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মোহছেনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
সোমবার (২৭ জুন) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য একটি গেট রয়েছে। বিদ্যালয়টির হাজারো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এই গেট দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন ধরে অভিভাবকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গেট দিয়ে। এর ফলে অভিভাবকদের পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সন্তানের অপেক্ষায়।
বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার বললেও মূল ফটক এখনও খোলা হয়নি। এমনকি তাদের বসার বা দাঁড়ানোর জন্যও কোনো শেড নির্মাণ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, মাসখানেক ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাদের মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ওই মূল গেট বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত ওই গেট খোলার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এর আগে গত শনিবার সকাল ১১টার সময় পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ পলাশ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে দুর্ভোগ দেখে তাৎক্ষণিক গেটটি খুলে অভিভাবকদের মাঠে প্রবেশ করান।
এ বিষয়ে এমএনএ নাছির বলেন, ‘এ কেমন আচরণ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? অভিভাবকদের জন্য নির্ধারিত বসার স্হান না করে উল্টো তাদেরকে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রাখা, তাও এই বর্ষা মৌসুমে। এ ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত অভিভাবকদের জন্য বসার শেড নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় মাঠে প্রবেশ করে ক্ষোভ জানিয়ে নাহিদা আকতার নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এই বর্ষায় বৃষ্টি আর বজ্রপাতের মধ্যেও গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। আমাদের সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। জানি না তারা আমাদের সন্তানদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছে শ্রেণি কক্ষে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা জানান, ‘গেটটি স্কুল চলাকালীন সময়ে খোলা হয়। এ সময় শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ করানো হয়। তা নাহলে সব অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত করে ফেলে।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল মামুন বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ডিজে