চট্টগ্রামে এস আলমের বাসভবনের সামনে বিনিয়োগের বকেয়া টাকার জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ব্যাংকের প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার এস আলম হাউসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি (মহিলা শাখা), জুবিলী রোড, বহদ্দারহাট, আন্দরকিল্লা, কদমতলীসহ বিভিন্ন ব্রাঞ্চের প্রায় একশ কর্মকর্তা অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য দেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোস্তফা, আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেইন চৌধুরী, জুবিলী রোড শাখার আনোয়ারুল আলম।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। বকেয়া এই টাকা আদায় না হওয়ায় ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রাহকরা সঞ্চয় উঠিয়ে নিতে চাইছেন। কারণ তারা জানতে পেরেছেন তাদের সঞ্চয় সুরক্ষিত নয়। ব্যাংকের পক্ষে গ্রাহকদের এত টাকা একসঙ্গে দেওয়াও সম্ভব নয়।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নেওয়ার ফলে আমরা কিছু টাকা ফেরত দিতে পারছি। আমরা এখানে অবস্থান নিয়ে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের টাকা আদায়ে বার্তা দিচ্ছি।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপ থেকে এস আলম গ্রুপের কাছে যায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ। এর পর থেকেই এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয় ব্যাংকটি। সারাদেশে ব্যাংকটির বিনিয়োগ প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এস আলম ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ব্যাংকটির বিনিয়োগ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান ও আগের পরিস্থিতি সবাই জানেন। ব্যাংকটির বিনিয়োগের অধিকাংশ এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। এই বিনিয়োগের টাকা আদায়ে ব্যাংকের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে ডিসেম্বরের মাসের শুরুতে নগরীর আছদগঞ্জ এলাকায় এস আলমের কর্পোরেট অফিসের ভেতরে অবস্থান নেয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকরা।
ডিজে