ফুটবল খেলার পুরোনো বিরোধ, কর্ণফুলীতে কিশোরকে মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আট মাস আগের এক ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ মামুন নামে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কর্ণফুলীর দৌলতপুর ও কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টার দিকে এ জে চৌধুরী স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে মামুনকে (১৬) পথরোধ করে মারধর করে প্রতিপক্ষ শিক্ষার্থীদের একটি দল।

খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মুহাম্মদ শরীফ।

পুলিশ জানায়, পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। মামুন কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. আমু ও নুর জাহান বেগমের ছেলে এবং দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে কালারপোল ও দৌলতপুর স্কুলের মধ্যে এক আন্তঃবিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেছিল। তবে পুরনো সেই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ওসি মুহাম্মদ শরীফ, এসআই কেএম নাজিবুল ইসলাম তানভীর, এসআই মাহিনসহ পুলিশের একটি দল। স্থানীয়দের মতে, পুলিশ সময়মতো না পৌঁছালে পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নিতে পারত।

ভুক্তভোগী মামুন বলেন, ‘আট মাস আগে ফুটবল খেলা নিয়ে আমাদের স্কুলের ছেলেদের সঙ্গে কালারপোল স্কুলের ছেলেদের বিরোধ হয়। তখন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেই ঘটনার জের ধরে আমাকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ না এলে হয়তো আমাকে মেরে ফেলত।’

এ বিষয়ে দৌলতপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ সেন বলেন, ‘আজকের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে গত বছর একটি বিরোধ হয়েছিল, যা প্রশাসনের সহায়তায় সমাধান করা হয়।’

ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘খেলাধুলা নিয়ে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিষয়টি সমাধান করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা সময়মতো তথ্য দিয়ে যে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রশংসনীয়। তারা দ্রুত পুলিশকে জানানোয় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং মামুনের প্রাণনাশ ঠেকানো গেছে।’

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm