আট মাস পর পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে চিটাগাং ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল)। যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে এতদিন বন্ধ ছিল উৎপাদন।
আট মাসে দৈনিক ৩ কোটি টাকা করে প্রায় ৭২০ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা থেকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন চলছে।
তবে আট মাস পর শুরু হওয়া এই উৎপাদন কতদিন স্থায়ী হবে—তা বলতে পারেনি সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে যদি ফের গ্যাস দেওয়া না হয়, তহলে বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিইউএফএল সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিইউএফএল কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়। কারখানা সচল অবস্থায় হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় প্লান্টের রিসাইকেল সলিউশন পাম্পে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রিসাইকেল সলিউশন পাম্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়। চলতি মাসের ৩ অক্টোবর থেকে গ্যাস পাওয়া গেলেও যান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে গ্যাস সংকট ও কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় দীর্ঘ ১১ মাস ২০ দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে গত বছরের ৫ নভেম্বর কারখানায় পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই আবার কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে কারখানাটি সচল থাকলে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। প্রতি টন সার ২৫ হাজার টাকা ধরে ডিলারদের কাছে বিক্রি করা হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন ইউরিয়া সার থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন আট মাস বন্ধ ছিল। সোমবার রাত ১টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কারখানা এবার পুরোদমে চালু করা যাবে। তবে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক ৩ কোটি টাকা করে প্রায় ৭২০ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে।
ডিজে