করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার মারা গেছেন গত ৬ জানুয়ারি, সেই ডাক্তারকেই সোমবার (৫ জুলাই) বদলি করা হল আরেক হাসপাতালে! ২০১১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ডাক্তারকেও করা হয়েছে ‘বদলি’।
এমন কাণ্ড ঘটালো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ৪৩টি প্রজ্ঞাপনে জারি করা অফিস আদেশে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ হাজার ৩০০ চিকিৎসককে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বদলি করা হয়।
গণবদলির এই তালিকায় দেখা গেছে, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ডা. জীবেশ কুমারকে বগুড়ারই মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের ১৫ নং ক্রমিকে ডা. জীবেশ কুমার প্রামাণিকের নাম রয়েছে।
অথচ ডা. জীবেশ কুমার প্রামাণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপর একজন চিকিৎসকের ক্ষেত্রেও ঘটেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একই কাণ্ড। রংপুর মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস্ বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস আরা শেখও মারা যান করোনায় আক্রান্ত হয়ে। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৃত এই চিকিৎসককেও ‘বদলি’ করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ বেগম অনেক আগেই চাকরি থেকে অবসরে চলে গেছেন। সেখানেও নিরাপদে থাকতে পারলেন না তিনি। তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সোমবারের আদেশে বদলি করা হয়েছে অন্য হাসপাতালে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ থেকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি অবসরে গেছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তাকেও করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘বদলি’ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিপি
