চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের ত্রাস কায়সার হামিদ অবশেষে ধরা পড়লেন পাঁচলাইশ থানা পুলিশের জালে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অসংখ্য মামলার এই আসামিকে বহদ্দারহাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে বহদ্দারহাটে এক নারীর দায়ের করা শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কামাল উদ্দিন আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কায়সার হামিদকে রোববারে করা এক মামলায় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
কায়সার হামিদের হামলার শিকার ও মামলার বাদী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কায়সারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী জোর করে তার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারীর মা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে কায়সার চাকু দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল রক্তাক্ত করে। এছাড়া ওই নারীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনও ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার দিন রাতেই ওই নারী বাদী হয়ে কায়সার হামিদকে প্রধান আসামি করে সাব্বির, জসিম, নাছির, নাজিম ও মহিনসহ ৬ জনের নামে মামলা করেন পাঁচলাইশ থানায়।
২০১৯ সালে একটি পিস্তল, একটি শটগান ও ৬৭ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের হাতে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোস্তফা টিনুসহ অন্য যে সহযোগীকে আটক করা হয়েছিলো সেই সহযোগীই হচ্ছে এই ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি জসিম।
তাছাড়া এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কায়সার হামিদও নূর মোস্তফা টিনুর কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত। টিনুর নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর মধ্যে বহদ্দারহাট এলাকার দেখাশোনা করেন এই কায়সার হামিদ। ফুটপাতে চাঁদাবাজি, জমি দখল, অবৈধ ব্যবসার দেখভালসহ কিশোর গ্যাং পরিচালনার অভিযোগও আছে কায়সারের বিরুদ্ধে।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর বহদ্দারহাট এলাকার কালারপুলে মধ্যরাতে পরকীয়ার ঘটনায় কায়সারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়। এ সময় সশস্ত্র গ্রুপটি পাঁচলাইশ থানার কালারপুর হাজী চান মিয়া রোডে খাজা গরীবে নেওয়াজ ভবনে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে আনতে গেলে সংঘাত শুরু হয়। ওই নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকার একপর্যায়ে কায়সারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কায়সারের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বিএস/সিপি