চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা যেন বানরের তৈলাক্ত বাঁশে উঠা-নামার মতো। একদিন শনাক্ত কমে শয়ের নিচে চলে আসেতো পরের দিন সেটি আবার বড় লাফ দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমে এসেছে ১৫৮ জনে, আগেরদিন এই সংখ্যা ছিল ২২৫। তবে এদিন করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও।
এই নিয়ে চট্টগ্রামে শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫৫ হাজার ১৯০ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৪২ জন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, এইদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ৯টি ল্যাবে ৯৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১১ জনের শরীরে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
এছাড়া, বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের শরীরের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে এবং পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
এমএহক