চট্টগ্রাম নগরীতে রাতভর অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে বহিরাগত প্রবেশ করায় এ কর্মসূচি বাতিল করা হয় বলে জানায় তারা। তবে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে ষোলশহর রেলস্টেশনে আবারও জমায়েত দেবে আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘শুক্রবার আমরা বিকাল সাড়ে ৪টায় ষোলশহর রেলস্টেশনে জমায়েত হবো। এরপর পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিবো।’
রাতভর আন্দোলন কেন স্থগিত করলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলন না। আবার ২০১৮ সালের মতোও না। আমাদের দাবি সুস্পষ্ট। কিন্তু আমাদের আন্দোলনকে হিংসাত্মক ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু বহিরাগত আমাদের আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে। সেখানে ঝামেলা পাকাতে পারে, এমন সংবাদের পর আমরা সারারাতের কর্মসূচি স্থগিত করি।’
তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
নিজেদের টাকায় সবার আন্দোলন
চট্টগ্রামে আন্দোলন চলমান রাখতে শিক্ষার্থীরা টাকা তুলছেন। আন্দোলনে ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকসহ বিভিন্ন খাতে যে টাকা খরচ হচ্ছে সেগুলো এই শির্ক্ষাথীদের টাকা থেকেই যোগান দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় দুই নম্বর গেট এলাকায় যখন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ার জন্য শাটলের অপেক্ষা করছেন, তখন স্টেশনে থাকা শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা চেয়ে নেন কয়েকজন। যা শুক্রবারের কর্মসূচিতে খরচ করা হবে বলে জানানো হয়।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘এ আন্দোলনটি যেহেতু শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের, তাই অর্থায়নই হবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। কোনো সংগঠন বা নেতার থেকে টাকা নিয়ে এই আন্দোলন আমরা চালাবো না।
এর আগে নগরীর টাইগারপাস ও দুই নম্বর গেট এলাকায় আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানানো হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
বিএস/ডিজে