সুজনের অনিয়ম তদন্তে ২২৫ দিন পার করে দিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

ধীরগতির নেপথ্যে ‘অদৃশ্য শক্তির চাপ’ দেখছে সংশ্লিষ্টরা

0

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক থাকা অবস্থায় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের অনিয়ম খুঁজতে ২২৫ দিন বা সাড়ে ৭ মাস পার করে দিল তদন্ত কমিটি। এখনও তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। তদন্তে এই অস্বাভাবিক ধীরগতির পেছনে ‘অদৃশ্য শক্তির চাপ’ রয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে চসিক মেয়র বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।

যদিও তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত বছরও ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

এবারেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আগেরবারের মতোই গতি হারাবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পুরোপুরি নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে মেয়র মহোদয় বরাবর প্রতিবেদন জমা দেবো।’

তদন্তে অস্থায়ী ভাড়া-বরাদ্দে স্থায়ী অবকাঠামো বানানো, নালার ওপর হাঁটাচলার পথে দোকান বরাদ্দের অনিয়মের চিত্রও উঠে আসবে বলে জানা গেছে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন খোরশেদ আলম সুজন। ১৮০ দিন দায়িত্ব পালন শেষে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। ওই সময়ে নগরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১২টি জায়গা ১০ জনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ দেওয়া জায়গার মোট পরিমাণ ১৭ হাজার ১৮৮ বর্গফুট।

নগরের গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক এলাকার এসব জায়গা প্রতি বর্গফুট সর্বনিম্ন এক টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮৫০ টাকায় মাসিক ভাড়া ধার্য করা হয়। এর মধ্যেই ড্রেন ও নালার স্ল্যাবের ওপরেও দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে জনচলাচলের পথে বাধা তৈরির অভিযোগ রয়েছে।

১৮০ দিনের মেয়াদকালে সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম তদন্ত করতে কমিটি করা হয় গত বছরের ২২ মে। পাঁচ সদস্যের কমিটি ওই তদন্ত কমিটিতে চসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশ ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চসিকের বর্তমান পর্ষদের তৃতীয় সাধারণ সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm