জুয়ার আসর, মাদক বিক্রি, নির্মানাধীন ভবনে চাঁদাবাজি এমন কোন অনৈতিক কাজ নেই যেখানে মিল্টন গ্রুপের অস্তিত্ব নেই। আবার নিজের অপরাধের জাল বিস্তৃত করতে খুলেছেন কয়েকটি উপগ্রুপ। আর সেই উপ-গ্রুপগুলোর মধ্যে বক্কর ও সোহেলের গ্রুপটিই বেশি সক্রিয়। চাঁদার টাকার ভাগভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মিল্টনের গড়া গ্রুপ দুটি।
বুধবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে হালিশহর এ ব্লকে স্থানীয় ‘যুবলীগ নেতা’ নুরুদ্দীন মিল্টনেরই দুই গ্রুপের (বক্কর গ্রুপ ও সোহেল গ্রুপ) মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সোহেল গ্রুপের সোহেল গুরুতর আহত হয়। চাঁদার টাকার ভাগ কম পড়ায় গ্যাং নিয়ে সোহেলের উপর চড়াও হয় বক্কর। আহত সোহেল দুইটি হত্যা মামলার আসামি এবং বক্কর একাধিক ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি। ওদের নামে আগেও একাধিক মামলা আছে থানায়। কেউ মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’
বয়সে কিশোর হলেও অপরাধ জগতে দারুন পরিপক্ক এই দুজন। মিল্টনের ছত্রছায়ায় অপরাধ জগতে নিজেদের কিংবদন্তির জায়গায় নিয়ে গেছে সোহেল ও বক্কর।
বক্কর-সোহেলের গুরু মিল্টনের নামের রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। কিছুদিন আগেও এক ইতালি প্রবাসীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেন বিশাল অংকের টাকা। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে হালিশহর থানায় মিল্টন ও এর সহযোগিদের নামে মামলাও করেন ভুক্তভূগী প্রবাসী।
মিল্টনগ্রুপের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননা হালিশহরের বাসিন্দারা। চট্টগ্রামের আলোচিত আবহনী ক্লাবের জুয়ার আসরটিও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো মিল্টন। বোর্ড প্রতি টাকা কালেকশান ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব ছিলো মিল্টনের। এরকম একজন চিহ্নিত সন্ক্রাসীর বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নেন না সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ভুক্তভূগী এলাকাবাসী
বিএস/এমএহক