s alam cement
আক্রান্ত
১০২১১০
সুস্থ
৮৬৮৫৬
মৃত্যু
১৩১৩

২ মিনিটে ৪ গুলিতে খুন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ, অংশ নেয় ১৯ জন

0

মাত্র দুই মিনিটে অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে হত্যার মিশন সম্পন্ন করেছে। দুই জন মিলে চারটি গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ায় মুহিবুল্লাহর হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

তিনি বলেন, ‘এই কিলিং মিশনে সরাসরি পাঁচজন অস্ত্রধারী ছিল। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে। হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।’

জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে এসপি নাঈমুল হক আরও বলেন, ‘মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে পাঁচজনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘দিনে দিনে মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিতি হচ্ছে। তাকে থামাতে হবে। সেটা যেকোনো মূল্যেই। তাই ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে ডেকে আনে গ্রেপ্তার মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দিয়ে দেয় সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করে মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় কিলিং স্কোয়াডের পাঁচজন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়।’

এসপি নাঈমুল হক বলেন, ‘আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে তাকে হত‌্যা করে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm