s alam cement
আক্রান্ত
৯৮৭২৪
সুস্থ
৬৮৯৩৯
মৃত্যু
১২১১

৭ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে এবার চট্টগ্রামে

0

চট্টগ্রামে গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। চলতি অর্থ বছরে (২০২০-২০২১ অর্থ বছর) ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৯৫৬ দশমিক ৬৩ মেট্রিকটন। আগের অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৫ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৭১ মেট্রিকটন। আগের অর্থ বছর থেকে এ অর্থ বছরে বেড়েছে ১ হাজার ২৭৩ মেট্রিকটন বেশী।

শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানালেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা কার্যালয়ে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় ফারহানা লাভলী বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে জাটকা নিধন বন্ধের ফলে এবং মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা ইলিশ মাছের।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিশ উৎপাদনে যথাক্রমে অষ্টম ও বারতম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। গত বছরও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মাছ নিয়ে তাদের দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশরিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২০ শিরােনামে প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলেছে, স্বাদু পানির উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। এছাড়া বাংলাদেশ গেল বছর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করে। সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক উৎস থেকে মােট ৯০ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয় যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশি প্রজাতির মাছের উন্নত জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন বেড়েই চলছে।’

অধিদপ্তরের হিসেবে, গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশই ছিল ইলিশ। ইলিশের উৎপাদন বাড়ার প্রধান কারণ, কয়েক বছর ধরে ইলিশ রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সবার সহায়তায় বিশেষ অভিযানও পরিচালনা করা হয়। তাতে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষা পায়। এ কারণেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের মানুষের মাছ খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে । আগে জনপ্রতি প্রতিদিন গড়ে ৬০ গ্রাম মাছ খেত, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম।

মত বিনিময়ের সময় আরও উপস্তিত ছিলেন সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক অধীর চন্দ্র দাস।

Din Mohammed Convention Hall

এএস/এমএফও

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm