চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর কুলগাঁও এলাকায় আম খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মো. তানভীর নামে এক যুবককে ছুরি মেরে খুন করা হয়েছে। হত্যার পর অভিযানে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে কুলগাঁও মহাজন পাড়া এলাকার বকসি পুকুরের পূর্ব-দক্ষিণ পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান।
নিহত তানভীর (২১) বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচড়া তুফানী এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন রাজমিস্ত্রি ও টাইলস মিস্ত্রি।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন—খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার ৬১ পাড়ার মৃদুল নাথের ছেলে গোবিন্দ নাথ (১৯), নোয়াখালীর সুধারাম থানার গোপালবাড়ীর মৃত প্রিয় লাল দাশের ছেলে সুনীশ দাশ (২০), চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার পালপাড়া এলাকার রাকেশ কান্তি দাশের ছেলে বিশু পাল (১৯) এবং বায়েজিদের এনাম কলোনির মো. জনি (২৪)। পলাতক রয়েছেন বায়েজিদের দাইয়া পাড়ার হৃদয় (২৩) নামে আরেক যুবক।
নিহতের মা মোসাম্মৎ মাজেদা বেগম (৪০) বাদি হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকালে আসামিরা বকসি পুকুর পাড়ে বসে আম খাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সুনীশ দাশ ফোনে তানভীরকে সেখানে ডেকে আনে। কিছুক্ষণ পর তানভীর পুকুর পাড়ে গেলে তারা একসঙ্গে বসে আম খায়।
হঠাৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোবিন্দ নাথ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তানভীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর গোবিন্দ, সুনীশ ও বিশু মিলে আহত তানভীরকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
একপর্যায়ে তানভীর অজ্ঞান হয়ে পড়লে গোবিন্দ ও জনি তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানভীরের পেটের নিচে, বুকের ডান ও বাম পাশে, নাভির ওপর এবং বাম পাশের পাঁজরে ছুরিকাঘাতে ক্ষতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরিফুর রহমান জানান, পলাতক আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেজে/ডিজে